বিশ্বকাপের ৪ মাস বাকি। এরই মধ্যে নিজেদের দল গোছানো শুরু করেছে অংশগ্রহণ করা দলগুলো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত বেশ কয়েকটি সিরিজেই বেশ কয়েকজনক ক্রিকেটারকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেখা গেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে।
এমনকি নতুন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকেও নিয়মিত খেলানো হচ্ছে। ফলে বিশ্বকাপ দলে শেষ মুহূর্তে কোনো চমক থাকছে না বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নান্নু বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। আমাদের পরপর সিরিজ রয়েছে। আমরা এই সিরিজগুলো নিয়েই এগোচ্ছি। সেরা একটি দল তৈরির জন্য।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হুট করেই এশিয়া কাপের দলে নেয়া হয়েছিল সাব্বির রহমানকে। তবে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপের আগেই দল থেকে বাদ পড়ে গেছেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপের দলে ছিলে অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার। তিনিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এবার আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না নির্বাচকরা। চান্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে আসার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সৌম্যকে নিয়ে। এই লঙ্কান কোচ বাংলাদেশে এসে সৌম্যর খোঁজও নিয়েছেন।
নান্নু বলেন, ‘হাথুরুসিংহে যখন আবার কোচ হয়ে আসে এখানে আগে যে খেলোয়াড় ছিল সবার খোঁজ খবর নিয়েছে, কে কেমন করছে। আমাদেরও একটা দায়িত্ব আছে কে কীভাবে খেলছে। গত তিন বছরে কিরকম পারফর্ম্যান্স করেছে। দেশে এবং দেশের বাইরে কি করেছে। এগুলোই সে জানতে চেয়েছিল।’
গুঞ্জন আছে এক ফরম্যাটে খারাপ করার পর অনেক ক্রিকেটারকে তিন ফরম্যাটের দল থেকেই বাদ দেয়া হয়। এর সর্বশেষ উদাহরণ হতে পারেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৪১ রান। আর ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে চার ইনিংসে করেছিলেন ৫৬ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর দলের বাইরে চলে যান তিনি। নান্নু অবশ্য জানিয়েছেন সোহান তাদের ভাবনার মধ্যেই আছেন। ২৪ জনের যে পুল আছে সেখানে রয়েছেন সোহানও। ২৪ জনের কাউকেই চোখের আড়াল করা হয়নি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.