দিল্লির নায়ক রুশো

একাই লড়লেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তার ঝড়ো ইনিংসের পরও দিল্লি ক্যাপিটালসের দেয়া ২১৪ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারল না পাঞ্জাব কিংস। দিল্লি বিপক্ষে ১৫ রানের হারে পাঞ্জাবের প্লে অফে খেলার আশা অনেকটাই উবে গেল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন ৭ নম্বরে। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে আটে দিল্লি।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঞ্জাবকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও প্রাভসিমরান সিং। ধাওয়ান ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন এরপর আথার্ভা তাইডেকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন প্রাভসিমরান। পাঞ্জাবের এই ওপেনার ২২ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

তৃতীয় উইকেটে লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তাইডে। ৪২ বলে এই বাঁহাতি এই ব্যাটার রিটায়ার্ড হার্ট হন ৫৫ রান করে। এরপরের ব্যাটারদের কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি লিভিংস্টোনকে। জিতেশ শর্মা শূন্য, শাহরুখ খান ৬, স্যাম কারান ১১ ও হারপ্রীত ব্রার শূন্য রানে আউট হলে খুব কাছাকাছি গিয়েও হারতে হয়েছে পাঞ্জাবকে।

ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে আসে ৯৪ রান। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৯ টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার। কোনো রান না করেই অপরাজিত ছিলেন রাহুল চাহার। দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট পান ইশান্ত শর্মা ও অ্যানরিখ নরকিয়া। একটি করে উইকেট যায় খলিল আহমেদ ও অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লিকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। এই দুজনে মিলে যোগ করেন ৯৪ রান। ওয়ার্নার আউট হন ৩১ বলে ৪৬ রান করে। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে পৃথ্বী আউট হন ৫৪ রানে। বাকি সময়টা ছিল রাইলি রুশোর।

এই প্রোটিয়া ব্যাটার রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন পাঞ্জাবের বোলারদের। তার ৩৭ বলে ঝড়ো ৮২ রানেই বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। ১৪ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন ফিল সল্টও। পাঞ্জাবের হয়ে ২টি উইকেট পান স্যাম কারান।

অর্থসূচক/এইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.