দুই চুলায় গ্যাস বিল ৫১২ টাকা বাড়াতে চায় তিতাস

আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস। দুই চুলার গ্যাসের বিল মাসে ৫১২ এবং এক চুলায় ৩৯০ টাকা বাড়াতে চায় তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। এ বিষয়ে গত ২ মে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে (বিইআরসি) প্রস্তাব জমা দিয়েছে কোম্পানিটি। তাদের প্রস্তাব কার্যকর হলে দুই চুলার মাসিক বিল হবে ১৫৯২ টাকা এবং এক চুলায় ১৩৮০ টাকা।

তিতাসের দাবি, আবাসিক গ্রাহকরা যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে তার চেয়ে কম টাকার বিল দিচ্ছে। এজন্য বিল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে বিইআরসি জানায়, বিতরণ সংস্থা যে কোনো সময় তাদের দাবি জানাতে পারে। কমিশন পরীক্ষা করেই এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।

বিইআরসিকে দেয়া এক চিঠিতে তিতাস অভিযোগ করেছে, বিইআরসি গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম নির্ধারণের সময় আবাসিক গ্রাহকদের ব্যবহার কম নির্ধারণ করায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তারা।

বর্তমানে রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার মাসিক বিল ১০৮০ টাকা এবং এক চুলার মাসিক বিল ৯৯০ টাকা করা হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের ৫ জুন গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় নতুন এ বিল নির্ধারণ করা হয়। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৯৭৫ ও ৯২৫ টাকা।

এরপর চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাণিজ্যিক খাতে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও বাসাবাড়িতে বাড়ানো হয়নি। তখন প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

তিতাস দাবি করেছে, আবাসিক গ্রাহকরা গড়ে একটি চুলায় ৯৭ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। যুক্তি হিসেবে চিঠিতে তিতাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত অক্টবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট ৬ মাসের গ্যাস ব্যবহারের পর্যালোচনা করে তারা এই হিসাব দাঁড় করিয়েছে।

তিতাসের চিঠিতে পোস্ট পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিলের হিসাব দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, দুই চুলার মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৯৭ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। মার্চে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৪৪। বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাসের ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক।

তিতাস দাবি করেছে, গত অক্টবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট ৬ মাসের গ্যাস ব্যবহারের পর্যালোচনা করে তারা এই হিসাব দাঁড় করিয়েছে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঠিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নয়। তিতাস তাদের চুলায় কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হয় সে বিষয়ে একটি পর্যালোচনা দিয়েছে। এটি তাদের কথা। এ বিষয়ে আমরাও পর্যালোচনা করছি। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করতে হলে তার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। কেউ যদি দাম বৃদ্ধি করতে চায় তাকে সেই প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.