শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) উদ্যোগে ৩৩টি বেসরকারি ব্যাংক নিয়ে শুরু হলো ফুটবলের বিশাল আয়োজন। এই আসরের নাম রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আজ থেকে খেলা শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংকের মুখোমুখি হচ্ছে সিটি ব্যাংক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

অনুষ্ঠানে বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমাদের ম্যানপাওয়ার আছে। উন্নয়নের সবকিছু আমরা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আপনি একটি টুর্নামেন্টের অনুমোদন দেন। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে এতবড় কোন খেলা হয়নি। এটা খুবই আনন্দঘন পরিবেশ। শেখ হাসিনা ব্যাংকসহ সব কিছুর উন্নয়ন করেছেন। একজন শেখ মুজিব ও একজন শেখ হাসিনা এটাই বাংলাদেশের ইতিহাস। ব্যাংকের উন্নয়নে তিন-চার লক্ষ মানুষকে চাকরি দিতে পেরেছি। এটাও শেখ হাসিনার অবদান। আজকের উৎসব ঈদের মতো মনে হয়। প্রত্যেক ব্যাংককে বলবো খেলার শেষে প্রতিটা খেলোয়াড়কে একটি বোনাস দিতে।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা এই খেলাটাকে আকর্ষণীয় করতে চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার দিচ্ছি। দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ লাখ টাকা। তৃতীয় ও চতুর্থ দল পাবে ২০ লাখ টাকা।

সেনাপ্রধান বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। এবিবি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তাদের অবদান অনেক। আমি আশা করছি এই সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের অনেক ভালো খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।

জানা গেছে, বাকি ম্যাচগুলো হবে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে। আগামী ২৬ মে ফাইনাল ম্যাচে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন বলে জানান বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক সম্পূর্ণ দল নিজস্ব প্লেয়ার দিয়ে গঠন করেছে। অন্যান্য অনেক ব্যাংক বাহির থেকে প্লেয়ার এনেছে। অর্থ ব্যয়ে এবিবির কোন নির্দেশনা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এবিবির কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যয়ের একটি নির্দেশনা রয়েছে। তাহলো সব ব্যাংক মিলে ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবে।

সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন অর্থসূচককে বলেন, খেলা শুরু হয়েছে। দেখি কি হয়। দলের পেছনে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দলের জন্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.