বিপিএলের অভিজ্ঞতায় আয়ারল্যান্ড জয় শান্ত-হৃদয়ের

বিপিএলের অভিজ্ঞতা বয়ে নিয়ে এলেন আয়ারল্যান্ড সিরিজেও। দলের যখন ওভারপ্রতি সাতের বেশি রান দরকার হয়, তখনই চেমসফোর্ডে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১০১ রানে তখন তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের।

প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল, লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান। আর তখনই দলের হয়ে হাল ধরেন শান্ত এবং হৃদয়। দুজনে মিলে গড়েন ১৩১ রানের অসাধারণ এক জুটি। ৫৮ বলে ৬৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন হৃদয়। ২২ বছর বয়সী এই তরুণের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৯৩ বলে ১১৭ রান করেন শান্ত।

এই জুটিতেই মূলত ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ৪৫ ওভারে ৩২০ রানের লক্ষ্য আরও তিন বল বাকি রেখেই পূরণ করে ফেলে তারা। ম্যাচ শেষে বিপিএলে একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বললেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে জুটিটি উপভোগ করছি। বিপিএলে বেশ কয়েকটা বড় জুটি ছিল আমাদের। আমরা দুজনই বুঝি ব্যাটিংটা কীভাবে করতে চাই, ইনিংস বা জুটিটা কীভাবে বড় করতে চাই।’

এই বছরের বিপিএলে এই দুজনের মধ্যে সেঞ্চুরি জুটি হয়েছে একটি। এ ছাড়া ফিফটি জুটি তিনটি এবং ৪৩ রানের জুটি ছিল দুইটি। তরুণ হৃদয়ের ইন্টেন্ট নিয়েও দারুণ খুশি শান্ত। তার মতে, ‘ও (হৃদয়) যেভাবে ইন্টেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করে, সেটা দলের জন্য ভালো। প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলা যায়। ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক, উইকেট তিনটা পড়ুক বা চারটা পড়ুক, ও ওর প্রক্রিয়ার বাইরে যায় না। আমার মনে হয় ওর এভাবেই খেলা উচিত।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.