বাটলার-স্যামসনদের ঝড় ম্লান করে হায়দরাবাদের জয়

জস বাটলার এবং সাঞ্জু স্যামসনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই শতাধিক রান করে জয়ের ভিত আগেই গড়ে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। যদিও আনমলপ্রীত সিং, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, হেনরিখ ক্লাসেন, গ্লেন ফিলিপস এবং আব্দুল সামাদের ছোটো ছোটো কয়েকটি ঝড়ে সেই রান অতিক্রম করে জিতে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে চার উইকেটে জিতিয়েছেন সামাদ।

২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে হায়দরাবাদের ওপেনাররা। ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান দলটির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আনমলপ্রীত। ৫১ রানে এই ওপেনারকে হারানোর পর ১১৬ রানে অভিষেকের উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে ফেরেন অভিষেক। এরপর ১২ বলে ২৬ রানের ছোটো ক্যামিও খেলে ফিরে যান ক্লাসেন। তিনে নামা ত্রিপাঠি খেলেন ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। মার্করাম ৬ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।

কেননা ১৭.৫ ওভারে ১৭৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষদিকে ৭ বলে ২৫ রানের আরেকটি ক্যামিও খেলেন ফিলিপস। শেষ বলে পাঁচ রান লাগত হায়দরাবাদের। সন্দিপ শর্মার করা নেই বলটি নো বল ছিল। এরপর পুনরায় বলটি করতে গেলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন সামাদ। ৭ বলে ১৭ রানের আরেকটি ক্যামিও আসে তার ব্যাটে। রাজস্থানের হয়ে ২৯ রান খরচায় চার উইকেট নেন যুবেন্দ্র চাহাল। ১১ ম্যাচে পাঁচটি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারেই থাকল রাজস্থান। দশ ম্যাচে এটি হায়দরাবাদের চতুর্থ জয়।

জয়পুরে এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে ২১৪ রান তোলে রাজস্থান। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৫৪ রান। এই ম্যাচেও আগ্রাসী সূচনা করেন দলটির তরুণ ওপেনার ইয়াশভি জায়সাওয়াল। ১৮ বলে ৩৫ রান করা এই ওপেনারকে থামান মার্কো ইয়ানসেন। তারপর ১৩৮ রানের জুটি গড়েন বাটলার এবং স্যামসন। তবে দুর্ভাগ্য বাটলারের। ১৯তম ওভারে সেঞ্চুরি থেকে পাঁচ রান দূরে থেকেই ফিরে যান তিনি। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৫৯ বলে ৯৫ রানের এই ইনিংসে ছিল দশটি চার ও চারটি ছক্কার মার। শেষপর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন স্যামসন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.