রশিদের ঘূর্ণির পর গুজরাটের জয়

রশিদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে অল্পতেই আটকে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। মাত্র ১১৯ রান তাড়া করতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দারুণ শুরু এনে দেন শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। গিল ফিরলেও তিনে নেমে ১৫ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন হার্দিক পান্ডিয়া। রাজস্থানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের আরও কাছে চলে গেল ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা গুজরাট।

জয়পুরে জয়ের জন্য মাত্র ১১৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন গুজরাটের দুই ওপেনার গিল ও ঋদ্ধিমান। পাওয়ার প্লেতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। দেখেশুনে ব্যাটিং করে প্রয়োজন অনুযায়ী রান তুলছিলেন তারা। তবে দশম ওভারে গিয়ে ভাঙে গিল ও ঋদ্ধিমানের উদ্বোধনী জুটি। যুবেন্দ্র চাহালের লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন গিল। তরুণ এই ওপেনার আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। তিনে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকেন হার্দিক। তাতে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয় পায় তারা। হার্দিক ৩৯ এবং ঋদ্ধিমান অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হার্দিকের সপ্তম স্ট্যাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে ডিপ থার্ডম্যানে থাকা মুহিত শর্মাকে ক্যাচ দেন জস বাটলার। রানে না থাকা ডানহাতি এই ওপেনার এদিন আউট হয়েছেন ৮ রান করে। এরপর ইয়াসভি জয়সাওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন স্যামসন।

যদিও তাদের জুটি খুব বেশি বড় হয়নি। রান আউটে কাটা পড়তে হয় জয়সাওয়ালকে। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর বিদায় নিয়েছেন দ্রুত রান তুলতে থাকা স্যামসন। জশুয়া লিটলের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে হার্দিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। রাজস্থানের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এরপর দ্রুতই বিদায় নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে নামা রায়ান পরাগ। শেষদিকে ট্রেন্ট বোল্টের ১৫ রানের ইনিংসে রাজস্থান কেবলই একশ পেরিয়েছে৷ গুজরাটের হয়ে রশিদ খান একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া নূর আহমেদ দুটি ও মোহাম্মদ শামি, হার্দিক এবং জশুয়া লিটল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.