বাংলাদেশে চলাচলকারী সব এয়ারলাইনসকে আগামী ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগটি ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ায় যাদের তুলনামূলক বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছিল তাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে।
সম্প্রতি উপ সচিব রোকসিন্দা ফারহানার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো যেসকল দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে, সে দেশের মুদ্রায় টিকিট বিক্রি করবে। একইভাবে দেশি-বিদেশি সব ফ্লাইটে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বাংলাদেশি টাকায়।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা), এবং হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
অ্যাভিয়েশন শিল্পের অভ্যন্তরীণরা বলছেন, বিশ্বের ৪টি দেশ (বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ান) মার্কিন ডলারে ফ্লাইট টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে। কিন্তু বাকি সব দেশই তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে।
আটাব সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম আরেফ বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকা দাম কমে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এখন ফ্লাইটের টিকিটের দাম ৩৫ শতাংশ বেশি।’
বায়রার যুগ্ম মহাসচিব টিপু সুলতান এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পর্যবেক্ষণ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ‘ডলারে ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করা হলে তা প্রায়শই বিভ্রান্তির কারণ হয়, বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকদের কাছে।’
অর্থসূচক/ এইচএআই