৫ মামলায় মামুনুল হকের জামিন

রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা নাশকতার পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামুনুল হকের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, এসব মামলার এজাহারে তার নাম নেই। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেই। দুই বছর ধরে তিনি কারাবন্দি। এসব যুক্তি তুলে ধরার পর হাইকোর্ট পাঁচ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে ১৩টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আর আজ হাইকোর্টে পাঁচটিতে পেয়েছেন।

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়।

এছাড়া ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করা হয়। পরে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.