কোহলি-গম্ভীরের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

আবারও আইপিএলের মঞ্চে দেখা গেল বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের দ্বন্দ্ব। দুজনের উচ্চবাচ্য পছন্দ হয়নি ম্যাচ রেফারির। আর তাই জরিমানা করা হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক কোহলি এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে। জরিমানা গুনতে হচ্ছে এই ঘটনায় জড়িত থাকা নাভিন উল হককেও।

আইপিএলে সোমবার (১ মে) রাতের ম্যাচ শেষে লক্ষ্ণৌর আফগান পেসার নাভিনের সঙ্গে তর্কে জড়ান কোহলি। এই ঘটনার জের ধরে গম্ভীরের সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় কোহলির। এমনকি পরস্পরের দিকে তেড়ে আসতেও দেখা গেছে কোহলি-গম্ভীরকে। ম্যাচ শেষে তাই বড় শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন এই দুজন। দুজনকেই নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ফি’র একশ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। কোহলি যেহেতু এখনও খেলছেন, তাই তাকেই গুনতে হচ্ছে একটু বেশি জরিমানা।

কোহলির জরিমানার অর্থমূল্য ১.০৭ কোটি ভারতীয় রূপি। অপরদিকে গম্ভীর যেহেতু কোচিং স্টাফে আছে, তার জরিমানা শতভাগ হলেও পরিমাণ কোহলির চার ভাগের প্রায় এক ভাগ। গম্ভীরের জরিমানার অর্থমূল্য আসে ২৫ লাখ রূপি। এই ঘটনায় জড়িত থাকা আফগান পেসার নাভিনের জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ৫০ ভাগ। যার অর্থমূল্য আসে ১.৭৯ লাখ।

লো-স্কোরিং এই থ্রিলারে লক্ষ্ণৌকে হারায় বেঙ্গালুরু। ম্যাচ জিততে লোকেশ রাহুলের দলকে ১২৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল কোহলিরা। জবাবে রাহুলদের দল ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায়। লক্ষ্ণৌর ইনিংসের ১৭তম ওভারে নাভিনকে স্লেজিং করেন কোহলি।

এটাই পুরো ঘটনার সূত্রপাত। তখন তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় বেশীক্ষণ হয়নি। ম্যাচ শেষে সব ক্রিকেটার একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। তখনই শুরু হয় মূল ঝামেলা। ম্যাচের সেই ঘটনা নিয়ে প্রথম নাভিন ও কোহলি এবং পরবর্তীতে কোহলি ও গম্ভীর বিতর্কে জড়ান। এ সময় দুই দলের বাকি ক্রিকেটারদের এই ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য আসতে দেখা যায়।

আইপিএলে কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৩ সালে গম্ভীর যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন এবং কোহলি যখন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন- তখনও তাদের দুজনকে মাঠে ঝগড়া করতে দেখা যায়। তখনকার আইপিএলের আসরগুলোতে প্রায়ই উচ্চবাচ্যে জড়াতে দেখা যেত এই দুজনকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.