মিচেলের সেঞ্চুরি ম্লান করে এগিয়ে গেল পাকিস্তান

ফখর জামানের সেঞ্চুরি এবং ইমাম উল হকের হাফ সেঞ্চুরিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতল পাকিস্তান। আর তাতে ম্লান হয়ে গেল ড্যারিল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি পাকিস্তানের ৫০০তম জয়। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।

২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তান। স্বাগতিকরা ২১.২ ওভারেই তোলে ১২৪ রান। ৬৫ বলে ৬০ রান করে ইস সোধির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ইমাম উল হক। তারপর বাবর আজমের সঙ্গে আরও ৯০ রানের জুটি গড়েন ফখর। এই জুটি বানেন অ্যাডাম মিলনে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে বাবর করেন ৪৬ বলে ৪৯ রান। নিজের করা পরের ওভারে শান মাসুদকেও (১) ফেরান মিলনে।

দেখশুনে খেলতে খেলতে ঠিকমতোই সেঞ্চুরি তোলেন ফখর। ৪৩তম ওভারে রাচিন রবীন্দ্রর শিকার হওয়ার আগে ১১৪ বলে ১১৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ৩৪ বলে ৪২ রান তুলে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিউইদের হয়ে ৬০ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন মিলনে। ৯ বল হাতে থাকতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।

রাওয়ালপিন্ডিতে এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে দলটি তোলে ৪৮ রান। ২৬ বলে ১৮ রান করে হারিস রউফের বলে ফিরে যান চাঁদ বাওয়েস। তারপর উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে ১০২ রানের জুটি গড়েন মিচেল। ৭৮ বলে ৮৬ রান করে শাদাব খানের বলে ফিরে যান ইয়ংও। এরপর টম লাথাম, মার্ক চ্যাপম্যানদের সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন মিচেল।

কাঙ্খিত সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যান এক সময়। লাথাম (২০) আর চ্যাপম্যান (১৫) জুটি গড়লেও বড় রানের দেখা পাননি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফখরকে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১৫ বলে ১১৩ রান করেন মিচেল। শেষদিকে ২১ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন হেনরি নিকলস। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.