গতি ফেরেনি ব্যাংক-বিমার লেনদেনে

ছুটির ৩ দিন

দেশের ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখনো ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসেনি। গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় লেনদেনও হচ্ছে অল্প পরিসরে। ফলে ঈদের ছুটির তিনদিন পরও প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মমুখর হয়ে ওঠেনি।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন ব্যাংক ও বিমার অফিস ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

এদিন সকাল দশটার পর ব্যাংক-বিমায় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত হলেও গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিলো কম। তবে ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে গ্রাহক উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। যদিও স্বাভাবিক দিনের তুলনায় এ উপস্থিতি খুবই কম।

স্বাভাবিক দিনে ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলের এসব প্রতিষ্ঠানে ভিড় ঠেলে কাজ করতে হয় গ্রাহকদের। তবে ঈদের ছুটির তিনদিন পর আজ সেরকম কোনো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে না তাদের। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বাড়তি ধকল পোহাতে হচ্ছে না। গ্রাহক কম থাকায় অনেকে ঈদের সুন্দর সময় কাটানোর গল্প করছেন। গ্রাহকেরা স্বাচ্ছন্দ্যেই কাজ সেরে চলে যাচ্ছেন।

একই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে দিলকুশায় অবস্থিত ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তেমন কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়নি। দিলকুশায় বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায়ও গ্রাহক উপস্থিতি কম ছিলো।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অর্থসূচককে বলেন, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজকে গ্রাহক উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে গত দুই দিনের (সোমবার-মঙ্গলবার) তুলনায় আজ একটু বেশি। লেনদেন কম হওয়ায় কাজের চাপ নেই। তবে দু-একদিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এদিকে গত সোমবার থেকে ব্যাংক লেনদেন শুরু হয়েছে ১০টা থে‌কে বিকেল সা‌ড়ে ৩টা পর্যন্ত। অফিস চলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণত রমজান মাসে ব্যাং‌ক লেন‌দেন ও অফিসের সময়সূ‌চি প‌রিবর্তন করা হয়। এবারও রোজার মধ্যে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। আর অফিস চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ঈদের পরে আবারও আগের নিয়মে লেনদেন চালু হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.