এটা প্রতিশোধ, গুজরাটকে হারিয়ে বললেন হেটমায়ার

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। ফাইনাল ছাড়াও আরও দুটি ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার দলের কাছে হেরেছিল সাঞ্জু স্যামসনরা। সবশেষ আসরে তিন দেখার সবকটিতে হারা রাজস্থান অবশেষে গুজরাটের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে।

গতকাল (১৬ এপ্রিল) আহমেদাবাদে স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান। অথচ ম্যাচের প্রথম দশ ওভারে জয়ের কোনো সম্ভাবনাও ছিল না তাদের।

এমন ম্যাচে ঝড় তুলে রাজস্থানকে জিতিয়ে হেটমায়ার বললেন, ‘আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তাদের (গুজরাট) বিপক্ষে জেতা কঠিন। আমি সত্যিই জিততে চেয়েছিলাম কারণ গত বছর তারা আমাদের তিনবার হারিয়েছে। এটা খানিকটা প্রতিশোধের মতো।’

ম্যাচ জিততে শেষ ৩০ বলে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ৬৪ রান। ততক্ষণে সাজঘরে ফিরেছেন জস বাটলার, যশস্বী জয়সাওয়াল, দেবদূত পাডিকাল, স্যামসন ও রিয়ান পরাগ। ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল ধ্রুব জুরেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজস্থানকে জেতান হেটমায়ার। এমন চাপের মুখে কিভাবে নিজেকে শান্ত রেখে পারফর্ম করেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার? এমন প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন তিনি।

হেটমায়ার জানান, ‘আমি এমন পরিস্থিতির আবহে অনুশীলন করি। আপনি যখন এমন মানসিকতা নিয়ে অনুশীলন করেন যে কয়েকটি উইকেট পড়ে গেছে এবং ৮ ওভারে ১০০ রান তাড়া করতে হবে। এটা আসলে অনেকটা সাহায্য করে।’

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল মোটে ৭ রান। সেই ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন নূর আহমেদ। আফগানিস্তানের এই স্পিনারকে বোলিংয়ে দেখে খানিকটা খুশি হয়ে হেটমায়ার বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি খুশি ছিলাম (শেষ ওভারে স্পিনারকে মোকাবেলা করা)। সে খুব ভালো বোলিং করেছে। আমার চিন্তা ছিল প্রথম বলে দুই রান নেয়া এবং তারপরেরটা পরে দেখব কি হয়।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.