ইউক্রেন বিমানে হামলা: শাস্তি পেল ইরানের ১০ সেনা

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনের উড়ান পিএস ৭৫২ তেহরান থেকে কিয়েভে যাচ্ছিল। তেহরান থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্লাইটটিতে মিসাইল লাগে। আগুন লাগা অবস্থায় ফ্লাইটটি মাটিতে গিয়ে পড়ে। ১৭৬ জন যাত্রী এবং বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ইরান মিসাইলের কথা স্বীকার করতে চায়নি।

এবার এই ঘটনার ৩ বছর পর ইরানের সেনাবাহিনীর ১০ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনার পর ইরান বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিশ্ব কূটনীতির চাপে তারা তদন্তে নামতে বাধ্য হয়। তারই জেরে ওই ১০ সেনাকর্মীকে শাস্তি দেওয়া হলো। দেশটির একটি সেনা আদালত এই শাস্তি শুনিয়েছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এর মধ্যে এক কমান্ডারও আছেন। তার নির্দেশেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছিল। ঘটনায় ১৭৬ জন যাত্রী এবং বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। ওই কমান্ডারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মিজানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই কমান্ডার এম-ওয়ান সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম থেকে দুইটি মিসাইল ছুঁড়েছিলেন। এবং তার জন্য সেনাবাহিনীর কর্তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। বাকি নয় সেনাকর্মীকে এক থেকে তিন বছরের কারবাসের শাস্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিচয় জানানো হয়নি।

২০২০ সালের ঘটনার পর একাধিক বিশ্বনেতা ইরানকে চিঠি দিয়ে জানান, মিসাইলের জন্যই যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তার প্রমাণ আছে। এরপরেই ইরান বিষয়টি মেনে নেয়। তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। ইরান জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে ওই সময় মিসাইল দুইটি ছোঁড়া হয়েছিল। বিমান ধ্বংসের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এদিন আদালত নিহতদের পরিবার পিছু এক লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।

সূত্র জানাচ্ছে, ওই দিন ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছিল। কারণ তার আগেই ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির কাছে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ফলে আমেরিকা পাল্টা মিসাইল ছুঁড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.