আগামীকাল ১৪ এপ্রিল ২৪ তম বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। ২০০০ সালের বাঙালির চিরায়ত উৎসব নববর্ষের দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেরিস্টোরিয়াল চ্যানেল হিসেবে একুশে টেলিভিশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, যা নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে পরবর্তী সময়ে স্যাটেলাইট চ্যানেলে রূপ নেয়।
‘পরিবর্তনের অঙ্গিকারবদ্ধ’ স্লোগান নিয়ে একুশে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দ্রুতই জয় করে নেয় কোটি মানুষের মন। কিন্তু মাত্র ২৮ মাসের মাথায় ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আইনী মারপ্যাঁচ ও রাজনৈতিক কূটচালে বন্ধ করে দেয়া হয় চ্যানেলটি। গণমাধ্যমের ইতিহাসে যা একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের এ ঘটনার পর আইনি লড়াই শেষে ২০০৫ সালে জয় হয় একুশের। তবে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও খুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে জোট সরকার। শেষ পর্যন্ত সববাধা পেরিয়ে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মাটি-মানুষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের দর্পন হয়ে ওঠে একুশে টেলিভিশন।
একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একুশের দৃপ্ত শপথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ গড়ার। একুশের অবস্থান জীর্ণতা, অবক্ষয় আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। আগামী দিনেও নবজাগৃতির নন্দিত বাংলাদেশের ছবি আঁকবে একুশের ক্যানভাস।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের দর্শন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের আদর্শ ধারণ করে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ছুটে চলবে একুশের অনিরুদ্ধ দল। নবোদ্যমে নবজাগরণের সাক্ষী হবে গণমানুষের ভালোবাসায় ঋদ্ধ একুশে টেলিভিশন।
প্রসঙ্গত; একুশে টেলিভিশন যাত্রার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের জয়গান, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বলিষ্ঠ দাবি, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। ওইসময় পথের প্যাঁচালী, আমরাও বলতে চাই, পথে পথে, দৃষ্টি, সফল যারা কেমন তারা, একুশের রাত, ভার্জিন তাকদুম তাকদুম, কেনাকাটা অনুষ্ঠানসহ দেশ বিদেশের অসংখ্য ড্রামা সিরিজ জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় এই টেলিভিশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। এ ছাড়াও একুশে টেলিভিশনে রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন।
এ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে (জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ১০ কারওয়ান বাজার, ঢাকা) কেক কাটা হবে এবং পরদিন ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে।
আগের নিউজ
পরের নিউজ



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.