দলীয় বিদ্রোহে জেরবার কংগ্রেস-বিজেপি

কর্ণাটকে বিজেপি-র অন্দরের বিদ্রোহ আসন্ন বিধানসভাকে নির্বাচনকে ঘিরে। বিজেপি ইতিমধ্য়ে দুইটিতে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে। দুইবারই তালিকা প্রকাশের পর প্রচুর বিজেপি নেতা-কর্মী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার, সাবেক উপ মুখ্যমন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা ও লক্ষ্মণ সেবাড়ি, মৎসমন্ত্রী আঙ্গারা, উডিপির তিনবারের বিধায়ক রঘুপতি ভাট ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ। ঈস্বরাপ্পা ও অঙ্গারি তো রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন। শেট্টার ও ভাট বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। প্রার্থী হতে না পারলে তারাও চরম ব্যবস্থার কথা ঘেষাণা করতে পারেন।

দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর সভাপতি এন ভি রমেশকে প্রার্থী না করায় এক হাজার দুইশজন বিজেপি কর্মী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। রঘুপতি ভাট বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা উচিত নয়। আমাকে মিডিয়ার কাছ থেকে জানতে হচ্ছে, আমায় প্রার্থী করা হবে না। অন্ততপক্ষে জেলা সভাপতি তো বলতে পারতেন। প্রার্থী না করায় আমি ক্ষুব্ধ নই, এরকম ব্যবহার পেয়ে ক্ষুব্ধ।’

শেট্টার ও আঙ্গারাও বলেছেন, তাদের মাসকয়েক আগে জানিয়ে দেয়া যেত, দল আর তাদের প্রার্থী করতে চায় না। সেটা অনেক বেশি সম্মানজনক হত। শেট্টার বলেছেন, আমি নির্বাচনকেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমায় লড়তে বলেছেন। আমি তো লড়ব।

দ্বিতীয় তালিকায় সাতজন বিধায়কের টিকিট কাটা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বিজেপি ছেড়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুইজন তাদের কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই বিদ্রোহ থামাবার জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এখন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার দ্বারস্থ হয়েছে। এই প্রবীণ লিঙ্গায়েত নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জে পি নাড্ডা। সূত্র জানাচ্ছে, সেখানেই তাঁকে বিদ্রোহ থামাবার দায়িত্ব দেয়া হয়।

ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। আর জগদীশ শেট্টারকে প্রার্থী করার বিষয়ে তিনি ৯৯ ভাগ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন।

এদিকে রাজস্থানে ভোটের আগে কংগ্রেসে ডামাডোল শুরু হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে অনশন পর্যন্ত করেছেন সাবেক উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। তার দাবি, গেহলট-ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দলের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, শচিন পাইলটের অনশন সমর্থন করা হচ্ছে না। প্রকাশ্য়ে এই সব কথা না বলে শচিনের উচিত ছিল, দলের কাছে বলা।

বৃস্পতিবার এই বিরোধ মেটানোর জন্য বৈঠক ডেকেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে শচিনও থাকতে পারেন। তার আগে রাজস্থানের দায়িত্বে থাকা দলের নেতা সুখজিন্দর রণধাওয়া দুই দফায় শচিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার বলতে পারেন।

এর আগেও শচিন বিদ্রোহ করেছিলেন। তখন রাহুল তাকে বোঝান। শচিন তারপর থেকে চুপচাপ ছিলেন। ভোটের আগে তিনি আবার সক্রিয় হয়েছেন। ফলে আবার গেহলট-গোষ্ঠীর সঙ্গে শচিন ও তার অনুগামীদের সংঘাত তীব্র হয়েছে। এমনকী ভোটের আগে সরকারপড়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বলছেন, সেই চরম পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই তারা মনে করেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, নিউজ১৮, এনডিটিভি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.