ত্রাণের নামে সিরিয়ায় অস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাট হানার পর বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ দেশ দু’টির সাহায্যে এগিয়ে আসে। বাদ থাকেনি ইরানও। ওই সময় সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠায় ইরান। তবে জানা গেছে, ত্রাণের সঙ্গে সঙ্গে ওই সময় সিরিয়ায় অস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে ইরান। যেগুলো ব্যবহার করবে সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ ও তার সরকারি বাহিনী।

ইরান, সিরিয়া এবং ইসরায়েলের ৯টি সূত্রের বরাতে বুধবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের মূল লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্রেসিডেন্ট আসাদের অবস্থান শক্তিশালী করা।

৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সিরিয়ার আলেপ্পো, দামাসকাস এবং লাতাকিয়া বিমানবন্দরে ইরানের কয়েকশ ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে এবং এটি টানা ৭ সপ্তাহ অব্যাহত ছিল।

এই সময়ে ইরান থেকে সিরিয়ায় নিয়ে আসা হয় যোগাযোগের যন্ত্রাংশ, রাডারের ব্যাটারি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার খুচরা যন্ত্রাংশ।

তবে জাতিসংঘের ইরান মিশন এ বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সিরিয়ার সরকারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও তারাও কোনো জবাব দেয়নি।

ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ত্রাণের আড়ালে ইরান সূক্ষ পরিকল্পনার মাধ্যমে সিরিয়ায় অস্ত্র এনেছে। এই কাজে অংশ নিয়েছে সিরিয়ার কোয়াড ফোর্সের ১৮ হাজার সদস্য। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ফোর্সের কমান্ডার হাসান মেহদুল। অপরদিকে অস্ত্রের চালানের স্থল পরিবহনে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোয়াড ফোর্সের ট্রান্সপোর্ট ইউনিট১৯০ এর কমান্ডার বাহানেম সাহারিরি। তবে তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সিরিয়ায় ইরান নতুন অস্ত্র মজুদ করার পর সেগুলো ধ্বংসের চেষ্টা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এছাড়া অস্ত্রের নতুন চালান যেন আসতে না পারে সেজন্য সিরিয়ার বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালায় তেল আবিব।

সূত্র: রয়টার্স

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.