মিলারের ঝড়ে গুজরাটের জয়

শুরুর ধাক্কা সামলে গুজরাট টাইটান্সের ইনিংস টেনেছেন সাই সুদর্শন। তার অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট। শেষদিকে এসে ঝড়ো ইনিংস খেলে সুদর্শনকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডেভিড মিলার। এবারের আসরে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। দুজনে যোগ করেছিলেন ২২ রান। নিজের প্রথম ওভারে এসে প্রথম বলেই ঋদ্ধিমানকে বোল্ড করে আউট করেন প্রোটিয়া পেসার এনরিক নরকিয়া। এরপর দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম বলে তিনি একই কায়দায় বোল্ড করে আউট করেন শুভমান গিলকে। দুজনেই আউট হন ১৪ রান করে। এরপর গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে ৫ রানের বেশি করতে দেননি খলিল আহমেদ। এরপর জস লিটলের বদলি হিসেবে ইম্পেক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন বিজয় শঙ্কর। তাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সাই সুদর্শন।

শঙ্কর ২৩ বলে ২৯ করে ফিরে গেলে ডেভিড মিলারকে নিয়ে গুজরাটকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সুদর্শন। মিলার শেষদিকে এসে ১৬ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সুদর্শন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৬২ রান।

এর আগে এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি দিল্লি। ওপেনার পৃথ্বী শ আউট হয়েছেন মাত্র ৭ রান করে। রাইলি রুশো আউট হন ৪ রান করে। এরপর সরফরাজ খানকে নিয়ে দিল্লির ইনিংস টেনেছেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও তিনি আউট হয়েছেন ৩২ বলে ৩৭ রান করে। তার ফেরার পর শূন্য রানে ফিরেছেন আরেক বিদেশি রাইলি রুশো। এরপর অভিষেক পোরেলের ১১ বলে ২০ ও অক্ষর প্যাটেলের ২২ বলে ৩৬ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দিল্লি। একপ্রান্ত আগলে রেখে সরফরাজ খেলেন ৩৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস।

শুরু থেকেই উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লির ব্যাটারদের তোপের মুখে রেখেছিলেন মোহাম্মদ শামি। তিনি ৪১ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। শেষের দিকে এসে আরও ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। বাকি দুটি উইকেট নিয়েছেন গুজরাটের ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.