হিজাবে কঠোরতা ইরানের

চলাফেরায় কেউ হিজাবের বিধান লঙ্ঘন করলে কঠোরতম শাস্তির কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেন মোহসেনি এজি। খবর আল আরাবিয়া।

গত বৃহস্পতিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণায়, হিজাব পরিধানের না করে কেউ রাস্তায় বের হলে তার প্রতি কোনো দয়ামায়া দেখানো হবে না এবং সরকারের অত্যাবশ্যকীয় হিজাব আইন প্রয়োগ করা হবে বলে বলে জানানো হয়।

তিনি বলেছেন, ‘হিজাব ছাড়া চলা আমাদের নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে শত্রুতা করার সামিল। যারা এ ধরনের বিশৃঙ্খল কাজ করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তাদের কঠোর বিচার করা হবে কোনো দয়ামায়া ছাড়া’। তবে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে জানান নি তিনি।

তিনি  আরও বলেছেন,বিধানের বাইরে যদি প্রকাশ্যে কখনো অস্বাভাবিক কিছু চোখে পরে বা ঘটনা ঘটে তাহলে আইন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী আদালতে নিয়ে যেতে বাধ্য থাকবে।

গত বছরের শেষের দিকে ইরানে হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘন করায় মাহসা আমিনী নামের এক তরুনীকে গ্রেফতার করেছিল ইরান কিন্তু সে পুলিশের হেফাজতে মারা যায়। তা নিয়ে দেশটিতে অনেক বড় বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাতে দেশটির নারীরা হিজাবের বিধান লঙ্ঘন করতে শুরু করে। সেই রেশ এখন পর্যন্ত বজায় আছে। এখনো অনেক নারীকে  শপিংমল, রাস্তা, রেঁস্তোরা, দোকানে হিজাব ছাড়া ঘুরতে দেখা যায়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নৈতিকতা পুলিশের সঙ্গে নারীদের হাতাহাতি ও বিবাদের ভিডিও লক্ষ করা যায়।

১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানে শরিয়া আইন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী, নারীদের মাথা ঢেকে রাখতে হয় এবং বাধ্যতামূলকভাকে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়। যারা এ আইন ভঙ্গ করেন তাদের জেল, জরিমানা অথবা তিরস্কার করা হয়।

হিজাবকে ‘ইরানের সভ্যতার অন্যতম ভিত্তি’ এবং ইসলামিক রিপাবলিকের অন্যতম ‘বড় নীতি’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে প্রকাশ করে বলেছে, ‘এই বিষয় নিয়ে কোনো কিছু সহ্য করা হবে না।’

এছাড়া যারা হিজাব পরেন না তাদের প্রতিরোধ করতে অন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন নির্দেশের পর ইরানে নারীদের মধ্যে অতীতে সংঘর্ষ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.