সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে রাখার আবেদন

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দৈনিক প্র‍থম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে। এ সময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এলাকা থেকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অন্যদিকে এ মামলায় জামিন চেয়ে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেছেন।

গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত কোনও আবেদন জমা হয়নি।

বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে কিছু লোক সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে তার বাসা থেকে তুলে নেয়। স্থানীয় পুলিশ জানায়, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলার মধ্যে একটিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে আনা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.