প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের আশুলিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সিআইডি এ অভিযোগ অস্বীকার করছে।

আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হয়। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হচ্ছে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘আজ ভোর ৪টায় শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে সিআইডির পরিচয়ে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। সিআইডি নামধারী লোকজন তার মুঠোফোন, ক্যামেরা ও কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক জব্দ করে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।’

সাজ্জাদ শরিফ আরও বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির ঢাকা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. ইমাম হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমাদের ঢাকা বিভাগের কোনো অপারেশন ছিল না। অন্য কেউ সিআইডির নাম ব্যবহার করে আটক করেছে কি না আমি জানি না।’

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকার কোনো থানা কিংবা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে আমার কাছে তথ্য নেই।’

গত ২৬ মার্চ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির বিষয়কে ইঙ্গিত করে সাভারের এক শিশুর উদ্বৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে। পরে সেটি সরিয়ে নেয় প্রথম আলো। প্রতিবেদনটি করেছিলেন শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সঙ্গে তার ওই প্রতিবেদনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এরপর কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই প্রতিবেদনটিকে সাজানো বলে দাবি করা হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.