এতিমখানায় এমিরেটসের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

দুবাই ভিত্তিক এমিরেটস এয়ারলাইন রবিবার (২৬ মার্চ) ঢাকা আহছানিয়া মহিলা মিশন এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে।

বাংলাদেশে এমিরেটসের এরিয়া ম্যানেজার মোহামেদ আল হাম্মাদির নেতৃত্বে এমিরেটস ঢাকা কার্যালয়ে একটি প্রতিনিধি দল এতিমখানা পরিদর্শন করে শিশুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে শিশুদের উপহার সামগ্রী এবং শ্রেনী কক্ষের জন্য আসবাবপত্র প্রদান করা হয়। শিশুদের জন্য একটি ইফতার মাহফিলেরও আয়োজন করে এমিরেটস।

বাংলাদেশের এমিরেটসের ম্যানেজার মোহামেদ আল হাম্মাদি এ প্রসঙ্গে বলেন “ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুরু করার মাধ্যমে এমিরেটস প্রথম দুই ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। এই বিশেষ কারণে বাংলাদেশ আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে”।

“আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে মাহে রমজানে ঢাকা আহছানিয়া মহিলা মিশন এতিমখানার বালিকাদের কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে পেরেছি এবং এতিমখানাটির সুবিধা উন্নয়নে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছি”।

এতিম খানাটিতে সারা দেশ থেকে আসা ৬০ জন বালিকা শিক্ষা এবং জীবনে চলার জন্য দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে যা তাদেরকে ভবিষ্যৎ পথ চলায় সহায়ক হবে এবং তারা সমাজে ভালো অবস্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। গত আট বছর যাবত এমিরেটস এই এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদযাপন করে আসছে।

উল্লেখ্য এমিরেটস এয়ারলাইন ফাউন্ডেশন যার মূল লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বে শিশুদের জীবন মান উন্নয়ন, বাংলাদেশে একটি ভাসমান হাসপাতাল এমিরেটস ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালের কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এই হাসপাতালটি ২০০৮ সাল থাকে দেশের উত্তরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে।

এমিরেটস বর্তমানে ঢাকায় সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং যাত্রীরা ভায়া দুবাই বিশ্বের ১৪০ টির অধিক গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক সংযোগ পাচ্ছেন। এমিরেটস একমাত্র এয়ারলাইন হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্র্র্র্রথম শ্রেণীর কেবিন সেবা প্রদান করছে।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.