অযোগ্যদের ঋণ দেওয়ায় ব্যাংক খাতে খেলাপি বাড়ছে

যথাযথ যাছাই–বাছাই ছাড়া অযোগ্যদের ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে অযোগ্যদের ঋণ দিলে তারা তো অর্থ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে না। ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে। আর ব্যবসায় ক্ষতি হলে ঋণ ফেরত দিতে পারবে না। এজন্য ঋণ বিতরণ ও মনিটরিংয়ে গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।

বুধবার (২২ মার্চ) অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে ‘মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্প’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সলীম উল্লাহ বলেন, ‘ব্যাংক ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসার মত নয়। আর অগ্রণী ব্যাংক পর্ষদ তা ভালো করে জানে এবং ভালোভাবে চালাচ্ছে। তবুও খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। খেলাপি কমাতে যোগ্যদের যথাযথ জায়গায় পদায়ন করতে হবে। যেন তারা ঋণ বিতরণ এবং গ্রাহকের ওপর নজরদারি রাখতে পারে। তাহলে ঋণ আদায় হবে। এটি করতে না পারলে খেলাপির কারণে ব্যাংকের সব অর্জন মূল্যহীন হবে। কেননা, বর্তমানে ব্যাংক খাতের বড় মাথা ব্যাথা খেলাপি।।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজাটাল গড়েছি। সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। এজন্য ব্যাংকারদের স্মার্ট হতে হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ব্যাংক গ্রাহক বান্ধব হতে হবে। সেবায় বৈচিত্র আনতে হবে। আর সরকারি ব্যাংক হিসাবে বেসরকারি ব্যাংকের মত শুধু মুনাফা করলে হবে না।’

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোঃ মুরশেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত।

এসময় তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান এখন পর্যন্ত ভালো। পূর্বের কিছু ঋণের কারণে খেলাপি কমছে না। বিভিন্ন আদালতে রিট করার সময় একটা অংশ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে খেলাপি কমে আসবে। পুরোপুরি নিষ্পত্তির পরে গ্রাহকের পক্ষ গেলে তারা অর্থ ফেরত পাবে। আর সকল রিট দ্রুত নিষ্পত্তিরও উদ্যোগ দরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালক বিশ্বজিত ভট্টাচার্য খোকন, মফিজ উদ্দীন আহমেদ, কাশেম হুমায়ূন, কে এম এন মঞ্জুরুল হক লাবলু, খোন্দকার ফজলে রশিদ, তানজিনা ইসমাইল, মো. শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং পর্যবেক্ষক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.