নিজেকে কিংবদন্তির আসনে দেখতে চান তাসকিন

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পেস বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা তাসকিন আহমেদ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাকে ছাড়া বোলিং আক্রমণ কল্পনাই করা যায় না । যদিও এই পেসারই এক সময় নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। একের পর এক ইনজুরিতে অনেকেই তার ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলেছিলেন। চূড়ান্ত অধ্যাবসায় আর কঠোর পরিশ্রমে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে এনে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। যাতে করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশে বোলিং আক্রমণও। ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নের মতো ছিল তাসকিনের।

ভারতের ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে বড় ধাক্কা খান এই পেসার। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তাকে। এরপর বোলিং শুধরে ফিরলেও নিজের হারানো ছন্দ ফিরে পাননি সে সময়। ২০১৯ বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করে বিশ্বকাপ দলেও জায়গা প্রায় পাকা করে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও এক ইনজুরি তার স্বপ্নে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তাসকিনের। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সময় দেশের ক্রিকেট থমকে ছিল। তবে থেমে ছিলেন না তাসকিন। নিয়মিত জিম আর অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়ে স্বপ্নের ফর্ম ফিরে পেয়েছেন।

তাসকিনও জানেন কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেটে। ক্যারিয়ারের শেষে জসপ্রিত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদা, জশ হ্যাজেলউডদের মতো কিংবদন্তি হতে চান বাংলাদেশের এই পেসার। এক সাক্ষাৎকারে তাসকিন বলেন, ‘গ্লেন ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি এবং ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তিরা আমার হিরো। শাহিন শাহ আফ্রিদি, কাগিসো রাবাদা, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং জশ হ্যাজেলউডের মতো বোলাররা তাদের ক্যারিয়ার শেষে কিংবদন্তি হয়ে উঠবে। আমি তাদের মতো হয়ে উঠতে চাই। আমি যদি সেই স্তরে পৌঁছতে না পারি তবে কঠোর পরিশ্রম করার কোনও মানে নেই। আমাকে তাদের লেভেলে নিয়ে যেতে হবে।’

এমন ফিটনেস ধরে রেখে লম্বা সময় খেলে যাওয়াই লক্ষ্য তাসকিনের। তিনি বলেন, ‘পেস বোলার হিসেবে আমি নিজেকে ভিন্ন এক অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই, দেশের জন্য আরও অনেক অবদান রাখতে চাই। আমি আরও দক্ষ ও ফিট হতে চাই। আমি আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই কিংবদন্তি হয়ে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.