বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে এমিরেটস

এমিরেটস চলতি অর্থবছরে (১ এপ্রিল ২০২২- ৩০ মার্চ ২০২৩) তার কার্যক্রম ৩১% বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রীষ্ম সময়সূচী অনুযায়ী, ২৬ মার্চ ২০২৩ থেকে শুরু হচ্ছে, এয়ারলাইনটি তার সীট ক্যাপাসিটি আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে।

বিগত মাসগুলোতে এমিরেটসের নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ৫টি নতুন গন্তব্যে পুনরায় ফ্লাইট শুরু হয়েছে, ১টি নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, এবং আগের চালু রুটগুলোতে ২৫১টি সাপ্তাহিক ফ্লাইট যুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন সেবা যুক্ত হয়েছে এবং প্রচলিত সেবার মানে উন্নয়ন ঘটেছে।

এমিরেটসের প্রধান বানিজ্যিক কর্মকর্তা আদনান কাজিন জানান, “সারা বিশ্বে ভ্রমণ চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এমিরেটস তার নেটওয়ার্ক বিস্তার করে চলেছে এবং রুটগুলোতে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করছে”।

আগামী মাসগুলোতে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, এবং আফ্রিকার বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পূর্ব এশিয়ায় আরো অনেক রুট পুনরায় চালু হবে। এমিরেটস তার দ্বিতল এয়ারবাস এ৩৮০ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছে; গ্লাসগো, কাসাব্লাংকা, বেইজিং, সাংহাই, নীস, বার্মিংহাম, কুয়ালালামপুর, এবং তাইপেতে পুনরায় এই সেবা চালু হচ্ছে।

ইউরোপের যেসকল গন্তব্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে- আমস্টারডাম, এথেন্স, বালোনা, বুদাপেস্ট, লন্ডন, এবং ভ্যানিস। অন্যদিকে আফ্রিকা, কায়রো, দার এস সালাম, এবং এন্টিবিতেও ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করবে এমিরেটস। অস্ট্রেলিয়া, এবং নিউজিল্যান্ডেও ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে- ব্রিজবেন, ক্রাইস্ট চার্চ, মেলবোর্ন, এবং সিডনিতে নতুন ফ্লাইট যুক্ত হচ্ছে। পূর্ব এশিয়ার ব্যাংকক, বেইজিং, হংকং, কুয়ালালামপুর এবং টোকিওতে অতিরিক্ত ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।

এমিরেটস বর্তমানে ঢাকায় সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের সাহায্যে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং ঢাকা থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরা দুবাই থেকে বিশ্বের ১৪০টির অধিক গন্তব্যে সুবিধাজনক সংযোগ পাচ্ছেন।

অর্থসূচক/  এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.