মার্কিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) ধসের ঘটনা, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর সবচেয়ে বড় ঘটনা। ব্যাংকটির পতনে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ছাড় পায়নি মার্কিন ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি সার্কেল এবং ক্রিপ্টো ঋণদানকারী ব্লকফি ইঙ্ক। ধসে পড়া ব্যাংকটিতে এই ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান দুটির মোট ৩৫২ কোটি ৭০ লাখ ডলার রাখা ছিলো।
সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্স সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ধসে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছে। এতে ক্রিপ্টো কোম্পানি দুটি সম্পর্কে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, মার্কিন ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি সার্কেলের কাছে থাকা ডিজিটাল মুদ্রা ইউএসডি কয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। সব মিলিয়ে তাদের হাতে রয়েছে চার হাজার কোটি ইউএসডি কয়েন। এর মধ্যে ৩৩০ কোটি ইউএসডি কয়েন জমা ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে। অপরদিকে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ক্রিপ্টো ঋণদানকারী ব্লকফি ইঙ্ক ২২ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেখেছিল। এই অর্থের বিমা করা ছিল না।
তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে বিশ্বব্যাপি ব্যাপক জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ধসের মধ্যেই মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে ক্রিপ্টোর প্রধান মুদ্রা বিটকয়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিটকয়েনের দাম ৩ হাজার বেড়ে প্রায় ২৫ হাজার ডলারে লেনদেন হয়েছিলো। এছাড়া বিএনবি মুদ্রাটি গত একদিনে সর্বোচ্চ ৩১৪ ডলারে এবং ইথেরিয়াম একইসময়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০০ ডলারে লেনদেন হয়েছিলো।
আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া সব মহাদেশেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের প্রভাব পড়েছে। ব্যবসা শুরু করছে এমন সব স্টার্টআপকে ঋণ দিত ব্যাংকটি।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থার প্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু দেশটির অর্থমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা সর্বসাধারণকে আশ্বাস দেন, একটি ব্যাংকের পতনের প্রভাব গোটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পড়বে না। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সিলিকন ভ্যালি, সিগনেচার ও সিলভারগ্যাট ব্যাংকের পতনের খবরে জনমনে হতাশা ক্রমে বাড়ছে।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.