বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজের জন্য টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এদিকে বিশ্রাম পাওয়ার খবর জানেনই না বাবর আজম! তার পরিবর্তে আফগানিস্তান সিরিজে অধিনায়কত্ব পাওয়া শাদাব খানই নিশ্চিত করেছেন এমনটা।
বাবর এবং রিজওয়ান ছাড়াও শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং ফখর জামানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে পিসিবি। মূলত ব্যস্ত সূচির ধকল সামলে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে সকল সংস্করণে মোট ১৫০টি ম্যাচ (আফগানিস্তানের রশিদ খানের ১৫৭ ম্যাচের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) খেলেছেন রিজওয়ান। বাবর খেলেছেন ১২৭টি এবং রউফ ১২৫টি। আর শাহিন আফ্রিদি ইনজুরিতেই ছিলেন বেশীরভাগ সময়। মূলত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সীমিত ওভারের দলে তরুণদের বাজিয়ে দেখার পক্ষে পিসিবি। এ কারণে সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে পিএসএলে দারুণ পারফর্ম করা আজম খান, ইহসানউল্লাহ, সাইম আইয়ুব, জামান খান ও তায়েব তাহিরদের রাখা হয়েছে এই দলে।
গতকাল পিসিবির স্কোয়াড ঘোষণার পর সবকিছু স্বাভাবিকই ধরে নেয়া হচ্ছিলো। তবে বিপত্তি বেঁধেছে গতকাল পিএসএলের ম্যাচ শেষে শাদাব খানের করা মন্তব্য নিয়ে। পেশোয়ার জালমি ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাদাব খান বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, আমাকে, বাবরকে কিংবা রিজওয়ানকে বিশ্রাম দেওয়া হবে কি না! এ তথ্য আপনাদের কাছ থেকেই জানলাম। আমাদের যদি বিশ্রাম দেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের সেটি জানানো হতো।’
দল ঘোষণার পর অবশ্য পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেছিলেন, ‘বাবরকে নিয়ে কোনো কিছু নেই। সে আমাদের নিয়মিত অধিনায়ক। সে যত দিন ইচ্ছা অধিনায়ক থাকবে। এখন বাবর নিজে যদি মনে করে সে অধিনায়ক থাকতে চায় না, সেটি ভিন্ন কথা। বাবর তিন সংস্করণেও অধিনায়ক থাকতে পারে, আবার যেকোনো একটি-দুটি ছেড়েও দিতে পারে। পুরো বিষয়টিই তার ওপর নির্ভর করছে।’
অর্থসূচক/এএইচআর