আমদানি নিয়ন্ত্রণে আকু বিল অর্ধেকে নেমেছে

গত বছর থেকেই চলছে ডলার সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ডলার সাশ্রয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ আরোপ করেছে সরকার। এসবের প্রভাবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পরিমাণ ১০ মাসে অর্ধেকের বেশি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ-এপ্রিলে আকুর সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এদিকে গত জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে আকু বিল দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক শূণ্য ৫ বিলিয়ন ডলার। এতে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ডলার সংকটে পড়েছে দেশ। পাশাপাশি ডলার সংকটে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর আকুভুক্ত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের আমদানি বিল পরিশোধ বাড়তে চাপ সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের ১ দশমিক শূণ্য ৫ বিলিয়ন ডলার আকুর দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে আকু বিল ছিল ১ দশমিক শূণ্য ৫ বিলিয়ন ডলার। যা নভেম্বর-ডিসেম্বরে ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন, জুলাই-আগস্টে ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন, মে-জুন সময়ে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার এবং মার্চ-এপ্রিলে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ৫ দশমিক শূণ্য ৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর আমদানি দায় পরিশোধে চলতি অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট ছিল ৪৮ দশমিক শূণ্য ৪ বিলিয়ন ডলার।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.