যেকোনও পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত কিংবা গুলি করে ভূপাতিতের প্রচেষ্টাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে বিবেচিত করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে উ. কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ভূপাতিত করার পরিকল্পনা করছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদেশগুলো কখনই উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেনি। দেশটি নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পার্শ্ববর্তী দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে, কিন্তু উত্তর কোরিয়া জাপানের উপর দিয়ে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকে নতুন তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরকে ‘ফায়ারিং রেঞ্জে’ পরিণত করার হুমকি দেওয়ার পর কিম ইয়ো বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগর যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানের সম্পত্তি নয়।’
বিশ্লেষকরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি প্রশান্ত মহাসাগরকে একটি ‘ফায়ারিং রেঞ্জ’ এ পরিণত করে যেমনটি হুমকি দিয়েছে, তবে এটি পারমাণবিক সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতার সামরিক সংকল্পের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে।
পৃথক এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি সংবাদ বিভাগের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন সোমবার বি-৫২ বোমারু বিমান নিয়ে যৌথ মহড়া পরিচালনার মাধ্যমে এবং যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করে পরিস্থিতিকে ‘উত্তপ্ত’ করে তুলছে।
উল্লেখ, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে যৌথ মহড়ার জন্য বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিরুদ্ধে একটি ‘ফোর্স ড্রিল’। আগামী সপ্তাহ থেকে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ‘ফ্রিডম শিল্ড’ নামে বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে এই দুই দেশ। ১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কোরিয়ান যুদ্ধের ফলস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.