বাখমুত রক্ষার জন্য অভিযান চলবে : জেলেনস্কি

বিপর্যস্ত পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত রক্ষার জন্য অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এই সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের সিনিয়র জেনারেলদেরও সমর্থন আছে বলেও জানান তিনি।

কয়েক মাস ধরে বাখমুত দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে মস্কো। উভয় পক্ষই এই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাস্তায়ই লড়াই চলছে। তবে বাখমুতের ডেপুটি মেয়র অলেকজান্ডার মার্চেনকো সপ্তাহান্তে বলেছিলেন, রাশিয়া এখনো এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

ইতিমধ্যেই রুশ ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তাদের প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করছে না মস্কো। যেটিকে সহজ কথায় ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে বর্ণনা করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি আরো বলেছেন, তার প্রতিনিধিকে রাশিয়ার সামরিক সদর দপ্তরে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামান্য কৌশলগত মূল্য থাকলেও রুশ কমান্ডারদের জন্য বাখমুত এখন একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বাখমুত নিয়ে ক্রেমলিনকে ইতিবাচক সংবাদ সরবরাহ করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন রুশ কমান্ডাররা।

জেলেনস্কি ভাষণে বলেছেন, সিনিয়র জেনারেলদের সঙ্গে বাখমুত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা (জেনারেল) পিছু হটবে না, আমাদের প্রতিরক্ষা আরো শক্তিশালী করার জন্য তারা সাড়া দিয়েছেন।’ বর্তমানে ইউক্রেন যে অবস্থানে আছে, সেখানে থেকেই নিজেদের আরো শক্তিশালী করে তুলতে একমত হয়েছেন কমান্ডারা। এমনটাই জানিয়েছে জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই এই  মন্তব্য আসে। এর আগে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনি কয়েক সপ্তাহ আগে জেলেনস্কির সঙ্গে বাখমুতে এই লড়াইয়ের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন এবং শহর থেকে পিছু হটতে সুপারিশ করেছিলেন।

ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার ওলেকজান্ডার সিরস্কি জানান, বাখমুতে লড়াই চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। শত্রু যুদ্ধে অতিরিক্ত ওয়াগনার বাহিনী নিয়োগ করেছে, কিন্তু আমাদের সৈন্যরা সাহসের সঙ্গে বাখমুতের উত্তরে আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘থিংকট্যাংক দি ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডাব্লিউ)’ বলেছিল, ইউক্রেনের সৈন্যরা সম্ভবত সীমিত আকারে যুদ্ধ প্রত্যাহার করেছে এবং রুশ সেনাদের ওপর আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে।

 

সূত্র : বিবিসি

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.