‘অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে রিজার্ভ মুদ্রার বড় ভূমিকা রয়েছে’

অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে রিজার্ভ মুদ্রা বড় ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।

সোমবার (৬ মার্চ) দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) একটি ভার্চুয়াল ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। “রাজনৈতিক অর্থনীতির মেকিং অ্যান্ড টেকিং ফ্রম রিজার্ভ কারেন্সি: ঐতিহাসিক প্রমাণ এবং ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি” শীর্ষক এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, অর্থনীতিতে রিজার্ভ মুদ্রা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সব মুদ্রাই রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে দরকার। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে রিজার্ভে সবচেয়ে বেশি মুদ্রা আসে। এছাড়া রিজার্ভ কারেন্সি বৈশ্বিক লেনদেনে ব্যবহার করা হয়। তাই এই মুদ্রার আধিপত্য অনেক বেশি থাকে।

ভার্চুয়াল এই ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং., চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রিন্সিপাল পার্টনার একেএম আফতাবুল ইসলাম। এতে প্যানেল আলোচক হিসাবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি এবং ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন আহমেদ।

জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে নেগেটিভ চিত্র সবসময় থাকে। তবে এর মাত্রা কিভাবে কমানো যায় সেদিকে মনযোগ দিতে হবে। বর্তমান সময়ের এই অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ও রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। রপ্তানি পণ্য আরও বেশি করে বাড়াতে হবে। দুএকটি পণ্য রপ্তানি করলে চলবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলাম, বৈদেশিক আয়ের ৫০ শতাংশও বৈধ চ্যানেলে আসে না। এজন্য অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করতে হবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। একইসঙ্গে রপ্তানি বাড়াতে হবে। দেশের পর্যটন খাতে মনযোগ দিলে বৈদেশিক মুদ্রায় আয় বাড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ট্যাক্স ও ভ্যাট সংগ্রহ বাড়াতে হবে। সরকারের ফাইন্যান্স খাতের সবকিছু ডিজিটাল করতে হবে। অবৈধ বাণিজ্য ও মানি লন্ডারিং কমাতে পারলে সংকট অনেকাংশে কমে আসবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.