চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ জন। এদিকে আহত অন্তত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেড’ নামের কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
বিস্ফোরণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদৎ হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।’
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর সেখানে আগুন ধরেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আটটি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি।’
অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মো. লোকমান বলেন, ‘বিকেলে ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। এতে প্ল্যান্টের আশপাশের বাড়ি-ঘরের দরজা-জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ছে। ভয়ে স্থানীয়রা বাড়ি-ঘর ছেড়ে দূরে সরে গেছেন।’
অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের দোকান (ফারিয়া এন্টারপ্রাইজ) মালিক ইদ্রিস ব্যাপারী বলেন, ‘ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশে লোহা-লক্কড় উড়ে এসে পড়েছে। বিস্ফোরণের পর প্ল্যান্টের ভেতর থেকে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।’
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্ফোরণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
গত বছরের ৪ জুন রাতে এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে পৌনে এক কিলোমিটার দূরে বি এম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর