সাকিব আল হাসান ও তামিমের মধ্যকার শীতল সম্পর্কের কারণে ড্রেসিং রুমে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে কেউ সাকিবের পক্ষের আবার কেউ তামিমের পক্ষের। যে কারণে ড্রেসিং রুমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের মন খুশি করে চলতেই তরুণরা বিভাজিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গ্রুপিং, আর এটাই বাস্তবতা। আমার আর কোনো কিছুতেই সমস্যা নেই।’ এমন তথ্য জানিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও বোর্ড সভাপতির এমন কথা অস্বীকার করেছেন তামিম ইকবাল। এসব গ্রুপিং নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি ১৭ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছি, আজ, ৫ বছর আগে, ১০ বছর আগে , ১৬ বছর আগে হোক যখন দল ভালো খেলতো না তখনই এই টার্মটা ব্যবহার করা হতো। বিভিন্নভাবে এই গ্রুপ ওই গ্রুপ। শুধুমাত্র বলার জন্য বলার না যারা আমাকে কাছ থেকে চেনেন আমি খুবই সোজাসাপ্টা লোক। আমি কোনো কিছু লুকিয়ে বলি না… যা বলি সোজা বলবো। আপনি পছন্দ করেন আর না করেন। আমি ১৬ বছর আগেও গ্রুপিং দেখিনি, ১০ বছর আগেও দেখিনি, এখনও দেখিনি। সবশেষ ৬ মাসে আমি দলের সঙ্গে ছিলাম না, এই জিনিসটা যদি এই ৬ মাসে যদি হয়ে থাকে তা আমি জানি না। ড্রেসিং রুম সবশেষ ৩-৪ দিন ধরে আছি এরকম কিছু দেখিনি। সবাই উপভোগ করছে, আমরা সবাই মজা করি।’
এক সময় সাকিব এবং তামিম ছিলেন মানিকজোড়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শীতল হয়েছে তাদের বন্ধুত্ব। এমন খবর সবশেষ কয়েক বছর ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছিলো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। এমন অভিযোগও রয়েছে একজন আড্ডায় থাকলে অন্যজন সেখানে বসেন না। লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলছেন তারা দুজন। বাংলাদেশের অনেক জয়ের কারিগর সাকিব ও তামিম। মাঠে নামলে তারা কেবল সেরাটা দেয়ার প্রত্যেয়েই থাকেন বলে জানান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
এ সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো আমি, সাকিব যখন বাংলাদেশ দলের জার্সি পড়ি, মাঠে যখন আমি নামি আমি আমার সেরাটা দেই, সে তার সেরাটা দেয়। আমি যখন অধিনায়কত্ব করি তখন যেকোনো পরামর্শ চাই। সে আমাকে পরামর্শ দেয়। আবার সে যখন অধিনায়কত্ব করে তখন তার কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সেটার জন্য প্রস্তুত থাকি। এর বাইরে কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসগুলো যদি ঠিক থাকে… আমি একটা সংস্করণের অধিনায়ক, যখনই আমার সহায়তার প্রয়াজন হয় সে করে। আমি আপনাকে এটা নিশ্চিত করছি সে যখন অধিনায়কত্ব করে এবং আমি টেস্ট খেলি কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সবসময় আছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এর বাইরে কিছু নেই।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.