বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকেও হারিয়ে দেবে: সৌরভ গাঙ্গুলি

ওয়ানডে সংস্করণে ঘরের মাঠে লম্বা সময় ধরেই সমীহ জাগানিয়া দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারত, সাউথ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তানের মতো দলকে হারালেও ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জেতা হয়নি সাকিব আল হাসানদের। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকেও হারাবে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান পাপনকে এমনটাই জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

২০১৪ সালের জুনের পর থেকে ঘরের মাঠে ১৪টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে ৫৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগাররা জয় পেয়েছে ৪০টি ম্যাচে। অর্থাৎ ৭১.১৭ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। যা এই সময়ে খেলা বিশ্বের সবদেশের থেকে বেশি।

এই সময়ে কেবল মাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই একটি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সাকিব-তামিমরা ভারত, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর এবারও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

২০১৬ সালে ইংল্যান্ডকে হারানোর সুযোগ পেলেও সেটা করে দেখাতে পারেনি সাকিবরা। প্রায় সাত বছর পর আবারও বাংলাদেশ সফরে এসেছে জস বাটলাররা। বোর্ড সভাপতি পাপনের সঙ্গে আলাপকালে গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। আগেও একবার ভারত এসেছিল ৬-৭ বছর সেখানেও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ইংল্যান্ড এসেছে পাপন ভাই বলেছিল আমরা সবাইকে হারিয়েছি, শুধু ইংল্যান্ডকে হারাতে পারিনি। আমি বললাম ইংল্যান্ডকেও হারিয়ে দেবেন। আপনাদের এখানে ঠিকমতো খেললে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেবেন। কালকেই বলেছিলাম ১৭ কোটি মানুষ, সেখান থেকে এত প্রতিভা বের হয় ক্রিকেটে দেখার মতো। বোলিং, ব্যাটিং, সাকিবের মতো অলরাউন্ডার আছে, মুশফিকুর আছে, এখন শান্ত ভালো খেলছে। আমি খবর রাখি, দেখি বাংলাদেশের খেলা। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে সবসময় ভালো লাগে।’

২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। উপমহাদেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় বিশ্বকাপে নিজেদের ভালো সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। গাঙ্গুলির চোখে উন্নতি করা বাংলাদেশ খেলতে পারে কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল।

যদিও সেটার জন্য মেহেদি হাসান মিরাজ-সাকিবদের মতো স্পিনারের সঙ্গে ব্যাটারদের ছন্দে থাকতে হবে বলে মনে করেন গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক প্রত্যাশা করি। আমি কোয়ার্টার বা সেমি পর্যন্ত প্রত্যাশা করি। একটু যদি ভাগ্য সহায় হয়, ভালো ফর্ম থাকে। বিশেষত স্পিনার ও পেস বোলারদের।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.