দেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়: বিএসইসি চেয়ার‌ম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ার‌ম্যান ও এপিআরসি এর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বাজার উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে পুঁজিবাজারে প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়ার সময় হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব বাজারের জন্য প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাজ করছে কমিশন। এ ধরনের সম্মেলন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্সের (আইওএসকো) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) ২ দিন ব্যাপী সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ, আইওএসকোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তাজিনদার সিংহ এবং আইওএসকো’র এপিআরসি’র চেয়ার সেগুরু আরিজুমি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগে অর্থায়নের উৎস পুঁজিবাজার। ব‍্যাংকের মাধ‍্যমে এটি সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের রাজস্ব ও মুদ্রানীতির মাধ‍্যমে পুঁজিবাজারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাজার গভীরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাজ করছে সরকার। তিনি আর্থিক প্রবৃদ্ধি চাইলে নিয়ন্ত্রকসংস্থার সক্ষম বাড়াতে হবে। আর বিএসইসির সক্ষম বাড়ছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ দেশের শেয়ারবাজারের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন-কানুন, বিধিমালা, চলমান পরিস্থিতি, ঝুঁকি, সমস্যা ও তা থেকে উত্তরণের উপায় সহ পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নতির বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

সংগঠনটির চারটি আঞ্চলিক কমিটির মধ্যে এপিআরসি অন্যতম। সভায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং, জাপান, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পকিস্তান, নেপালসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, আইওএসকো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। এর প্রধান কার্যালয় স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৫২। সংস্থাটির প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, ক্যাপাসিটি বাড়ানো, আন্তর্জাতিক মান প্রণয়ন, মনিটরিং ইত্যাদি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.