আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা। বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তি কাজ করছে। আবারও আগুন সন্ত্রাসের চেষ্টা করছে তারা। আজকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তি, অগ্নি সন্ত্রাসীদের রুখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি। ‘৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ যে দল গঠন করেছিল সেটা একদল নয়, সেটা ছিল জাতীয় দল। সব দলের সমন্বয়ে সেটা ছিল জাতীয় দল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আবারও বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দরখাস্ত দিয়ে কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান দরখাস্ত দিয়ে যে দলে যোগ দিয়েছিল সেই দলকে কটাক্ষ করার কোনো অধিকার বিএনপির নেতাদের নেই।’
সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা একুশের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা একাত্তরের চেতনায়ও বিশ্বাস করে না।একাত্তরের চেতনা আর একুশের চেতনা একই। যারা এই চেতনা বিরোধী, তাদের বিশস্ত ঠিকানা বিএনপি। এই অপশক্তি আগুন সন্ত্রাসীদের রুখতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনটি সারা দুনিয়ার ৩৫ কোটি বাংলা ভাষা-ভাষীর এক অহংকারের দিন। বিশেষ করে, বাঙালি জাতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি গর্বের দিন। আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় অহংকার, পৃথিবীর সব দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। অর্থচ প্রায় ৩০ কোটি বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা, এই ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক স্বীকৃতি আজ পর্যন্ত পায়নি। আমরা আবারও দাবি জানাবো জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবে, এটাই আমরা আশা করছি।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.