‘ইচ্ছে করে’ সময় নষ্ট করেননি মুশফিক

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটিতে দেরিতে মাঠে নেমে সমালোচনার শিকার হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্স দল নিয়ে এ নিয়ে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেন রংপুরের কোচ সোহেল ইসলাম। তবে সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে মাঠে নামেননি মুশফিক।

হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচ শেষে সিলেটের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সময় নষ্টের অভিযোগ করে রংপুর। দলটির অভিযোগের পুরোটাই মুশফিকুর রহিম কেন্দ্রিক। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে মাঠে নামেননি। তিনি না থাকায় ১৭ ওভার পর্যন্ত উইকেটকিপিং সামলেছেন দলটির ব্যাক-আপ কিপার আকবর আলী। এরপর যখন মুশফিক মাঠে নামেন, তখন জাকির হাসানকে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিপার বদলের পুরো ঘটনায় প্রায় ৫-৬ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। রংপুরের কোচ সোহেলের দাবি, সময় নষ্টের কারণেই মূলত সে সময় দলটির রান তাড়ায় ছন্দপতন হয়।

ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন কথার জবাবে শান্ত বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের তো শরীর খারাপ ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে উনি নামতে পারে নাই (শুরুতে)। এই জিনিসটা (মুশফিককে খেলতে নামানো) মাঠের বাইরে যারা ফিজিও ছিল, তাদের সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা তো মাঠে ছিলাম। আমরা যতটুকু জানি, ওনার শরীর খারাপ ছিল। তাই উনি নামতে পারে নাই। আমার মনে হয় না, মুশফিক ভাই ইচ্ছে করে এমনটা করবে। এটা আমার কাছে মনে হয়। খেলার যে অবস্থান ছিল ওই সময় অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মাঠে থাকা জরুরি ছিল। এটা হয়তো উনি বাইরে থেকে অনুভব করেছে। এজন্যই হয়তো পরে উনি মাঠে ফিরে এসেছে।’

১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ বলে ৩৩ রান দরকার ছিল রংপুরের। রনি তালুকদার ও নুরুল হাসান সোহান তখন পর্যন্ত ৫১ বলে ৮২ রান করে ফেলেছিলেন। অথচ সেই বিরতির পর প্রথম বলেই আউট হয়ে যান সোহান। ২৪ বলে ৩৩ রানে থামে তার ইনিংস। দুই বল পর রানআউট হয়ে ফিরে যান ৫২ বলে ৬৬ করা রনি তালুকদার। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি রংপুর। ১৯ রানে ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে দলটি।

আর তাই এমন ঘটনায় হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি সোহেল। তিনি বলেন, ‘ওই সময়টায় খেলার মোমেন্টাম আমাদের দিকে ছিল। খেলার একটা ফ্লো ছিল। ওই সময় জাকির বের হলো (কিপিং প্যাড, গ্লাভস পরতে)। উইকেটকিপার বদল হলো। একটা মোমেন্টাম শিফট ছিল। খেলার একটা ফ্লো ছিল। ওই সময় মোমেন্টাম আসলে ব্রেকডাউন হয়ে যায়। এটা টি-টোয়েন্টিতে একটা দলের জন্য একটা যখন ফ্লো থাকে, তখন সেটা বাধাগ্রস্ত হলে এ রকম হতে পারে (ধস)। সেটাই হয়েছে। পরবর্তীতে মুশফিক ডখন নামে, তখন বেশ কিছু সময় চলে যায়। এক-দুই মিনিটের ব্যাপার নয়, প্রায় ৫-৬ মিনিটের ব্যাপার ছিল। ওই সময়টায় আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। একটা ফ্লো ছিল। এই ফ্লো নষ্ট হয়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.