শতাব্দীর ভয়াবহতম দুর্যোগ তুরস্ক ভূমিকম্প

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ৩৯ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে । জাতিসংঘের আশঙ্কা এই সংখ্যা ৫০ হাজারে পৌঁছাবে। গত এক দশকে এত বড় দুর্যোগ পৃথিবী দেখেনি।

মঙ্গলবার এই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ‘এই দুর্যোগের উৎসে এখনো পৌঁছাতে পারিনি আমরা। সব মিলিয়ে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা-ও এখনো অস্পষ্ট। এ এক ভয়াবহ অবস্থা।’

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সব মিলিয়ে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা এখন ৩৫ হাজার ৪১৮।

সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৪১৪। যদিও সিরিয়ায় উদ্ধারকাজ খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। সিরিয়ায় উদ্ধারকারী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অবশ্য দাবি করেছে, সেখানে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তবে সরকার এখনো সেই নম্বর ঘোষণা করেনি। তুরস্কের উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনো প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন তারা। তবে ঘটনার আটদিন পার হয়ে যাওয়ার পর জীবিত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সোম এবং মঙ্গলবারও অবশ্য কিছু জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেছিল।

এরদোয়ান মঙ্গলবার এই ভূমিকম্পকে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার কথায়, পরমাণু বিস্ফোরণ হলে এমন ভয়াবহতা দেখা যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে দুই দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন। হাজার হাজার বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ডিডাব্লিউয়ের রিপোর্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানিয়েছেন, শহরের ভিতর একটি বাড়ি সোজা দাঁড়িয়ে নেই। ভূমিকম্পে সমস্ত ধসে পড়েছে। কার্যত এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দক্ষিণ তুরস্কের বিপর্যস্ত অঞ্চল।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আরো বেশি সাহায্যের প্রয়োজনের কথা বলেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য এবং উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যেই তুরস্কে গিয়ে পৌঁছেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.