আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে বলা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে আদর্শ প্রকাশনী এবারের বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিন্টু কুমার মন্ডল।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রকাশনীটির স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে রিটটি করেন। রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনীটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতি সহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, শুধু একটি বইয়ের জন্য কাগজে-কলমে মেলায় পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি নিষিদ্ধ বা ব্ল্যাক লিস্টেড নয়। তাদের এমন সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩ অনুযায়ী কোনও বৈধতা নেই। একই সঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাকস্বাধীনতার বিরোধী। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি বিতর্ক ওঠা তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে একটি মুচলেকা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ওই বই তিনটির কপি আদালতে জমা দিতে বলা হয়।

এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে চলতি বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.