অস্ট্রেলিয়ায় মাহসা আমিনি হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামা এক বিক্ষোভকারীর ওপর ইরান নজরদারি করছে- এমন অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীল৷ অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরে কারো যৌক্তিক প্রতিবাদে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা বরদাশত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
সম্প্রতি ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে সময় অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করা মাহসা আমিনি হত্যার বিচার দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়৷ ঠিকভাবে হিজাব না পরার দায়ে আটক করে নিয়ে নির্যাতন করার ফলে মাহসার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই উঠেছে মাহসা হত্যার বিচারের দাবি৷ ইরান ও অস্ট্রেলিয়ার ওই নাগরিকও অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে তুলেছেন সেই দাবি৷
ক্লেয়ার ও’নীল-এর অভিযোগ, মাহসা আমিনি হত্যার বিচার চাওয়া ওই ব্যক্তির পিছু নিয়েছে ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ৷ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ)-তে দেয়া ভাষণে অস্ট্রেলিয়ার হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বিদেশি কোনো সরকারের সমালোচনা কেউ করতেই পারেন, অস্ট্রেলিয়ায় এটা পুরোপুরি আইনসঙ্গত৷ সম্প্রতি ইরানে যা ঘটেছে তার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে যে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে- তা-ও আইনসঙ্গত৷’ তারপর তিনি ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ এ দেশে বিদেশি কোনো সরকারের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ কোনো বিক্ষোভকে বাধাগ্রস্ত করার করার চেষ্টা হলে, সহিংসতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না৷’
ক্লেয়ার ও’নীল দাবি করেন, ইরান শুধু দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ওই অ্যাক্টিভিস্টের ওপরই নজরদারি করছে না, তার এবং তার মতো অনেক বিক্ষোভকারীর পরিবারের সদস্যদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে৷ এ সময় অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাও এসবের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মাটিতে কোনো অস্ট্রেলীয় বা বিদেশির ওপর কোনো বিদেশি সরকার নজর রাখবে, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে আর আমরা বসে থাকবো, তা হতে পারে না৷’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.