কংক্রিট আর ইটের বড় একটি স্ল্যাবের নিচে চাপা পড়ে আছেন আব্দুল আলিম মুয়াইনি। পাশেই পড়ে আছে তার স্ত্রী এসরা ও দুই মেয়ে মাহসেন এবং বেসিরার নিথর দেহ। বেঁচে থাকার চেষ্টায় উদ্ধারকারীদের দেখে ইশারা করলেন তাদের উদ্ধারের। পারতেছিলেন না ঠিকমতো কথা বলতে।
তুরস্কের হতাই প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির নিচে দু’দিনেরও বেশি সময় হয়ে ধরে আটকে আছেন আলিম। তার কাছে উদ্ধারকারীদের পৌঁছাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
উদ্ধারের সময় আবদুল আলিমের পুরো শরীর ধূসর ধুলায় আচ্ছাদিত, এক চোখ ছিল ফোলা এবং পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রী উমিত বেকতাসের ছবিতে এ তথ্য ওঠে এসেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো হতায়ে ছিলেন তিনি।
সোমবার ভোরের দিকে তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব এলাকা, হতায়ে সেসবের একটি। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আবদুল আলিমের পা কংক্রিটের নিচে আটকে থাকলেও তার জ্ঞান আছে এবং উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলতে পারছেন। কিন্তু তিনি বেঁচে ফিরলেও তার স্ত্রী ও মেয়েরা বাঁচতে পারেননি।

আলিমের দুই বন্ধু জানান, আবদুল আলিম সিরিয়ার হোমস নগরীর বাসিন্দা। গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। এখানে আসার পর তুর্কি নারী এসরাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই মেয়ে মাহসেন এবং বেসিরা।
সূত্র: রয়টার্স
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.