বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হারের সঙ্গে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হলো না টাইগ্রেসদের। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১০১ রানে থেমেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এদিন অবশ্য সেটি পেরিয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবুও কাটলো না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুর্দশা।

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে রিচা ঘোষের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৫ উইকেট ১৮৩ রান তোলে ভারত। জেমাইমা রদ্রিগেজ ৪১ রানে ফিরলেও ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিচা। জবাব দিতে নেমে জ্যোতির ৪০ ও মুর্শিদা খাতুনের ৩২ রানের পরও বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ১৩১ রানে। তাতে ভারতের কাছে হারে ৫২ রানে বাংলাদেশের মেয়েরা।

জয়ের জন্য ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে এদিন অবশ্য কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সালমা খাতুন ও সোবহানা মোস্তারিকে ওপেনিংয়ে দেখা গেলেও এদিন মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গী ছিলেন শামীমা সুলতানা। নিজেদের পুরোনো ওপেনিং জুটিকে ফেরালে বাংলাদেশকে খানিকটা আশা দেখান শামীমা ও মুর্শিদা। তবে তাদের দুজনের জুটি ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

রাজশ্রী গায়কোয়াড়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে কভার ক্যাচ দিয়েছেন শামীমা। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১০ বলে ১৫ রান করে। মিডল অর্ডার ব্যাটার হলেও আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে জায়গা পাওয়া সোবহানা এদিন সুযোগ পেয়েছিলেন তিনে। তবে দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।

দীপ্তি শর্মার মিডল স্টাম্পের বলে ক্রস ব্যাটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ২ রান করা সোবহানা। দেখেশুনে ব্যাটিং করা ওপেনার মুর্শিদা ফেরেন ৫ চারে ৩২ বলে ৩২ রান করে। দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ মাতিয়ে আসা স্বর্ণা আক্তার। দেবিকা বৈদ্যর বলে উইকেটকিপার রিচার গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ রান এই ব্যাটার। থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিতু মনি। ১৯ বলে ১১ রান করা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন শেফালি ভার্মার বলে রাধা যাদবকে ক্যাচ দিয়ে। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৩৬ বলে ৪০ রান করেন জ্যোতি। বাংলাদেশের অধিনায়কের এমন ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমায়। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন দেবিকা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভারত শিবিরে আঘাত হানেন মারুফা আক্তার। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ১০ রান করা স্বস্তিকা ভাটিয়া।

মারকুটে শেফালিকে ইনিংস বড় করতে দেননি নাহিদা আক্তার। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ৯ রান করা শেফালি। তিনে নামা হারলিন দেওল আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রানে। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন রিচা ও জেমাইমা। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯২ রান। জাহানারা আলমের বলে জেমাইমা ৪২ রান করে ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এদিকে শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ভারতকে বড় পুঁজি এনে দেন রিচা। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন নাহিদা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.