৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টেনে তোলেন উসমান খান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৮৮ রানের জুটি। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়েরও পুঁজিও পায় তারা। শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলা চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত থেমেছে ১৫৬ রানে। ম্যাচ জিততে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চাই ১৫৭ রান।
টস জিতে ব্যাটিং করতে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তানভীর ইসলামের আর্ম বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি মারুফ। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি ডানহাতি এই ওপেনারের। তিনে নামা খাওয়াজা নাফের সঙ্গে উসমানের জুটি বড় করতে দেননি তানভীরই। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন নাফে।
টপ এজ হওয়ায় মিড অনে সৈকত আলীর হাতে ধরা পড়তে হয় পাকিস্তানের তরুণ এই ব্যাটারকে। নাফে ২ রান করে ফিরলে মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। এমন অবস্থা থেকে চট্টগ্রামকে টেনে তোলেন আফিফ ও উসমান। তাদের দুজনের কল্যাণে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তোলে দলটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন উসমান ও আফিফ।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন উসমান। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। সৈকতের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে থাকা জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ দেন ৫২ রান করা উসমান। এদিকে আবরার আহমেদের বলে এক রান নিয়ে ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আফিফ। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি শুভাগত হোম ও কার্টিস ক্যাম্ফাররা।
তারা দুজন দ্রুত বিদায় নেয়ার পর দারুণ ব্যাটিং করা আফিফকে সাজঘরে ফিরতে হয় ইনিংসের শেষ ওভারে। হাসান আলীর লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে চট্টগ্রাম।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.