রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে আয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার

শিল্পের কাঁচামাল প্রয়োজনমতো আমদানি হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার করে রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানির মিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এলসিতে ৩৯ বিলিয়ন ডলার আমদানির দায় পরিশোধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বৃহস্পিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে এক সময় তারল্য তৈরি হয়েছিল। সেই তারল্য সংকটও দূর হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই ২২-জানুয়ারি ২৩) সংকট মোকাবিলায় রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৯২০ কোটি ডলার। আমাদের ব্যবস্থাপনার নিজস্ব পদ্ধতিতে ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় মুদ্রার বিষয়ও দেখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন মতো এসব পণ্যের এলসি খোলা হচ্ছে। বিভিন্ন গগণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি পবিত্র রমজান মাসে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, পেঁয়াজ ও ছোলার কোনো ঘাটতি হবে না। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন চিনির এলসি খোলা হয়েছিল। চলতি বছর একই মাসে চিনির এলসি খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ মেট্রিক টন। এবছর জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ মেট্রিক টন তেলের এলসি খোলা হয়েছে যা এর আগের বছরের জানুয়ারিতে খোলা হয়েছিলো ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন। চলতি বছর জানুয়ারিতে পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ মেট্টিক টন। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৩৬ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছোলার এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন। গত বছরের একই সময়ে ছোলার এলসি খোলা হয়েছিলো ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খেজুর আমদানিতে ২৯ হাজার ৪৮১ মেট্রিক টন যা গত বছরের জানুয়ারি মাসে এসলি খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। আসন্ন রোজার আগেই আমাদের এসব পণ্য চলে আসবে। এজন্য কোন নীতি সহায়তার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সেটাও দেওয়া হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.