দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে লভ্যাংশ নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশের টাকা পাঠানোর বিষয়ে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। আইনে বেঁধে দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানি দুটি বিনিয়োগকারী তথা শেয়ারহোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে লভ্যাংশের টাকা পাঠায়নি। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি পেইন্টস লিমিটেড।

বিদ্যমান আইন অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লভ্যাংশের টাকা পাঠাতে হয়। কিন্তু আলোচিত দুই কোম্পানির এজিএমের পর ৩০ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও লভ্যাংশের টাকা পাঠায়নি কোম্পানি দুটি।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ২০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা। অনুষ্ঠিত সে সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এজিএম অনুষ্ঠিত এবং লভ্যাংশ অনুমোদনের একমাস পরেও বিনিয়োগকারীদের কাছে লভ্যাংশ পাঠায়নি কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে কোম্পানিটির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মফিজুর রহমান অর্থসূচককে বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে সময় চেয়েছি। জেনারেল শেয়ারহোল্ডারদেরকে আমরা ইতিমধ্যেই লভ্যাংশ পাঠিয়েছি। বিএসইসি আমাদেরকে বলেছে জেনারেল শেয়ারহোল্ডারদেরকে আগে লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিতে। আর এখন এলসি ওপেন করতে পারছিলাম না। গত ছয় মাস আমরা এলসি খুলতে পারিনি। আমরা চাইলে এখন লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিতে পারি। কিন্তু তারপর আমাদেরকে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। তখন কি হবে? শেয়ারহোল্ডারাও কোম্পানির মালিক। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এলসিগুলো খুলছি। যাতে আমাদের কারখানা সচল থাকে।
এদিকে, পুঁজিবাজারের এসএমই সেক্টরে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি পেইন্টস লিমিটেডের লভ্যাংশ বণ্টন নিয়েও উঠেছে একই অভিযোগ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এজিএম অনুষ্ঠিত এবং লভ্যাংশ অনুমোদনের একমাস পরেও বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটি লভ্যাংশ পাঠায়নি বলে অর্থসূচককে জানিয়েছেন কোম্পানিটির কয়েকজন বিনিয়োগকারী।
এ প্রসঙ্গে বিডি পেইন্টসের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে এরকম নয়। আমরা কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে ইতিমধ্যে লভ্যাংশ পাঠিয়েছি। আর কয়েকজন বাদ রয়েছেন। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝেই তাদের একাউন্টে লভ্যাংশ পাঠিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী এজিএম অনুষ্ঠিত হবার ৩০ দিনের মাঝেই লভ্যাংশ হতে প্রাপ্ত অর্থ কিংবা স্টক বিনিয়োগকারীর ব্যাংক অথবা বিও অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.