ম্যাচের তখনও এক ওভার বাকি, স্ট্রাইক প্রান্তে ৯৫ রানে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে খুশদিলের হাতে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাতে সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হলো তামিমকে। তাকে সঙ্গ দেয়া শাই হোপও সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি। অপরাজিত ছিলেন ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। তাদের দুজনের ১৮৪ রানের জুটিতে খুলনা টাইগার্স স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২ উইকেটে ২১০ রান।
টানা হারের পর ইয়াসির আলী রাব্বিকে সরিয়ে শাই হোপকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় খুলনা। এবারের বিপিএলে বেশ কয়েকবারই বদলেছে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী। এদিন দেখা গেছে তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়কে। এর আগে তিনে ব্যাটিং করে সাফল্য পেলেও এদিন ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জয়।
নাসিম শাহর গুড লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ১ রান করা এই ব্যাটার। এরপর অবশ্য দারুণ জুটি গড়ে তোলেন তামিম ও হোপ। তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। ফলে মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
ওপেনার তামিমের হাফ সেঞ্চুরি পেতে খেলতে হয়েছে ৪৫ বল। তানভীর ইসলামকে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তানভীরের সেই ওভার থেকে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৭ রান নেন তামিম। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। ইনিংসের শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯৫ রানে আউট হন তামিম। তাকে সঙ্গে দেয়া হোপ অপরাজিত ছিলেন ৯১ রানে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.