বরিশালকে হারাতে ঢাকার চাই ১৫৭

এনামুল হক বিজয় ভালো শুরু এনে দিলেও জ্বলে উঠতে পারেননি সাকিব আল হাসান-ইফতিখার আহমেদরা। ফলে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে ফরচুন বরিশালের। তবে শেষ দিকে ২৭ বলে ৩৯ রান করে বরিশালকে ১৫৬ রানের পুঁজি এনে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরিশালকে হারাতে ঢাকার প্রয়োজন ১৫৭ রান।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বরিশাল। এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসানের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান তোলে তারা। বরিশালের দুই ওপেনারই শুরু থেকে খানিকটা দেখেশুনে খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই অবশ্য তাদের জুটি ভাঙেন আমির হামজা।

বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে খানিকটা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা অ্যালেক্স ব্লেককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৫ রান করা সাইফ। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মুক্তার আলীর অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন।

সুবিধা করতে পারেননি ছন্দে থাকা ইফতিখার আহমেদ। নাসির হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। ইফতিখারের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। সাবলীল ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি বিজয়ের।

সৌম্যর বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটকিপার মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫ বলে ৪২ রান করা বিজয়। শেষ দিকে ৪২ রানের জুটি গড়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেন। শরিফুল ইসলামের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ৩৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। যদিও শরিফুলের সেই ওভার থেকে ২০ রান নেন বরিশালের ব্যাটাররা। পরের ওভারে আউট হয়েছেন ১৪ রান করা সালমান। শেষ পর্যন্ত বরিশাল থামে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে। ঢাকার হয়ে হামজা দুটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির, সৌম্য, শরিফুল, সালমান এবং আল আমিন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.