একশও করতে পারল না মাশরাফিরা

শেখ মেহেদির বেশ কয়েকটি বলে অসম বাউন্স দেখা গেলেও পেসারদের ক্ষেত্রে ছিল ভিন্ন। ধারাবাহিকভাবে বাউন্স পেয়েছেন রংপুর রাইডার্সের পেসাররা। রংপুরের দুই বোলার মেহেদি এবং আজমত উল্লাহ ওমরজাইয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি সিলেটের ব্যাটাররা। নাজমুল হোসেন শান্তদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে সিলেটকে ৯২ রানের পুঁজি এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সিলেটের উইকেট নিয়ে বরাবরই ব্যাটারদের সহায়ক হতো। তবে সবশেষ কমাসে বদলে উইকেটের চরিত্র। বর্তমানে ব্যাটার নয় বরং এখানকার উইকেট বাড়তি ‍সুবিধা দেয় বোলারদের। যে কারণে এদিন টস আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েন।

ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করায় প্রমোশন পেয়ে এদিন নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন টম মুরস। তবে পজিশন বদলে সফল হতে পারেননি এই ইংলিশ ব্যাটার। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের গুড লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ক্রস ব্যাট চালিয়ে আউট হন ২ রান করা মুরস। শেখ মেহেদির বলে ছক্কা মেরে সিলেটের চাপ কমানোর চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটারের সেই চেষ্টা কাজে দেয়নি।

টানা দুই বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে শোয়েব মালিকের হাতে ধরা পড়েন শান্ত। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার খানিকটা লাফিয়ে উঠে নিজের নিয়ন্ত্রণ রেখে ক্যাচ লুফে নিলে ৯ রানে ফিরতে হয় দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটারকে। তিনে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। ওমরজাইয়ের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করেছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বলে ওমরজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। পরের ওভারে মেহেদির বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরের পথে হাঁটেন জাকির হাসান। বাঁহাতি এই ব্যাটারও রানের খাতা খুলতে পারেননি। উড়িয়ে মারতে গিয়ে থিসারা পেরেরা বিদায় নিলে বিপদে পড়ে সিলেট।

হারিস রউফের প্রথম বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ইমাদ ওয়াসিম আউট হলে মাত্র ১৭ রানে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর অবশ্য তানজিম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলের বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন মাশরাফি। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। তাদের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের বলে শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন মাশরাফি।

মোহাম্মদ নওয়াজকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারা সিলেটের অধিনায়ক এদিন আউট হয়েছেন ২১ বলে ২১ রান করে। ১৯তম ওভারে তানজিম হাসানের ৩৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস থামান হাসান। শেষ দিকে মোহাম্মদ আমির-রেজাউর রহমান রাজারা তেমন কোনো রান যোগ করতে না পারায় ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থামে সিলেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.