বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জনরা গতকাল বুধবার রাতে ব্রেন ডেড এক রোগীর ২টি কিডনি দুইজন পৃথক রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন।
ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে এই কিডনি নিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ওই রোগীর অঙ্গ দানের তার মা সম্মতি দিয়েছিলেন।
বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, সারা ইসলামকে ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে বলেছি ক্যাডেভারিক অর্গান ডোনার ট্রান্সপ্লান্টেশন। আমাদের দেশে এই প্রথম আমন ট্রান্সপ্লান্ট করা হলো। কিডনি প্রতিস্থাপন করা ২ জন রোগীই ভালো আছেন।’
কিডনি ও কর্নিয়া দানকারী সাহারা ইসলাম ১০ মাস বয়সে দুরারোগ্য টিউমার ক্ষেলেলিস রোগে আক্রান্ত হন। এ রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেন। এ অবস্থায় সাহারা অগ্রণী গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব ডেভলভমেন্ট অল্টারনেটিভে (ইউডা) ফাইন আর্টসে ভর্তি হন। তিনি ফাইন আর্টসের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ অপারেশনে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ইউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। অপারেশন থিয়েটারে আরো ছিলেন ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, অ্যানেসথেসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশিস বণিক, অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল হান্নান, ডা. কামরুল হাসান, ডা. মো: আশরাফুজ্জামান সজিব, ডা. দিলীপ ও ডা. মোমিনুল হক।
বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে জীবিত দাতার কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তবে ব্রেন ডেড রোগীর কিডনি নেওয়ার বিষয়ে আইনি সীমাবদ্ধতা ছিল। ২০১৮ সালে আত্মীয়দের সম্মতিতে ব্রেন ডেড রোগীর অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দিয়ে অঙ্গ দান আইন সংশোধন করা হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.