ভারী অস্ত্র চাইলেন জেলেনস্কি, অপেক্ষা জার্মানির সংকেতের

সম্প্রতি ইউক্রেনের ডিনিপ্রো অঞ্চলে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কার্যত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে এলাকা। তারপরেই মঙ্গলবার রাতে জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলির কাছ থেকে আরো ট্যাঙ্ক, সাজোয়া গাড়ি এবং গোলাবরুদ প্রয়োজন। অত্যন্ত দ্রুত তা ইউক্রেনের সেনার হাতে আসা দরকার। নইলে রাশিয়াকে আটকে রাখা যাবে না।

বস্তুত, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং যুক্তরাজ্য দ্রুত অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউক্রেনকে। কিন্তু তারা সকলেই তাকিয়ে আছে জার্মানির দিকে। বুধবার এ বিষয়ে জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সোমবার ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠক শুরু হয়েছে। বুধবার সেখানে বক্তৃতা করার কথা জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের। সেখানেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন তিনি। শলৎস অবশ্য আগেই বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করাও প্রয়োজন।

বস্তুত, পোল্যান্ডের কাছে ১৪টি লিওপার্ড ট্যাঙ্ক আছে। এই ট্যাঙ্ক তারা ইউক্রেনকে পাঠাতে চায়। কিন্তু ট্যাঙ্কগুলি জার্মানির কাছ থেকে পাওয়া। ফলে জার্মানি অনুমতি না দিলে তারা তা ইউক্রেনকে দিতে পারবে না। ডাভোসের বৈঠকে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আরো একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তার বক্তব্য, সকলে মিলে ইউক্রেনে অন্তত একটি আর্মার্ড ব্রিগেড পাঠানো উচিত। বুধবার এ বিষয়েও শলৎস মন্তব্য করতে পারেন।

এদিকে জেলেনস্কির বক্তব্য, অত্যন্ত দ্রুত তাদের হাতে ভারী অস্ত্র পৌঁছানো প্রয়োজন। কারণ, রাশিয়া একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণ দরকার। সে কারণেই তাদের ট্যাঙ্ক প্রয়োজন। জেলেনস্কি আরো একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার বক্তব্য, ইউক্রেনের বহু বাসিন্দাকে জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার বিভিন্ন জেল এবং ডিটেনশন সেন্টারে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না। পশ্চিমা দেশগুলির এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.